রফিক আহমেদ : গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য’র সমন্বয়ক ডা: এম এ সামাদ বলেছেন, সিন্ডিকেটের চামড়ার টাকা লুটপাটের সঙ্গে মন্ত্রী ও সরকারের প্রভাবশালীরা জড়িত রয়েছে। চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লুটপাটের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ জোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চামড়ার সিন্ডিকেট করে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় লুটপাট চালিয়ে চামড়া শিল্প ধবংসের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জোটের শীর্ষনেতা বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা: সামছুল আলম, এসডিপির আহব্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদীর কেন্দ্রীয় নেতা বিজ্ঞানী সামছুল হক সরকার।
ডা: এম এ সামাদ বলেন, চামড়া লুটপাটে সরকারের ও বাণিজ্য মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনরা জড়িত রয়েছে। তিনি চামড়া শিল্পকে ধ্বংসে দায়ী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
বাম ঐক্য’র সমন্বয়ক বলেন, সারাবিশ্বে চামড়ার দাম কমছে। যার ফলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে চামড়া যেন ভারতে পাচার না হয় সেজন্য বিজিবি সতর্ক আছে? একই সঙ্গে ঘোষণা দিয়েছে সরকার যে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট বøু চামড়া রফতানি করা যাবে। এতে করে চামড়া ভারতে পাচার হবে।
ভারতের চামড়া শিল্পের বাজার বহুলাংশে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের চামড়ার উপর নির্ভরশীল। পাকিস্তান ভারতের সাথে ব্যবসায় বন্ধ করে দেয়ায়, এ বছর ভারতকে বাংলাদেশের চামড়ার উপর অধিক নির্ভরশীল হতে হবে। ফলে বাজার চাহিদানুযায়ী চামড়ার দাম ভালো পাওয়ার কথা। কিন্তু এ বছর ঘটেছে সম্পূর্ণ উল্টো। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী সর্বস্বান্ত হয়েছেন বিশেষ কর মাদ্রাসার এতিমদের হক মারা হয়েছে। অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে চামড়া পুঁতে, পুড়িয়ে বা নদীতে ফেলে দিয়েছেন। এতে বাংলাদেশের চামড়া শিল্প ধ্বংস হবে।
আপনার মতামত লিখুন :