আক্তারুজ্জামান : বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক পুরানো নাম জহুরুল ইসলাম অমি। ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত মুখ হলেও জাতীয় দলে নিজের জায়গা তৈরি করতে পারেননি তিনি। বিপিএল, ডিপিএলসহ সব লিগেই নিজেকে উজ্জ্বল করলেও জাতীয় দলে নিয়মিত হতে পারেননি তিনি। তরুণ লিটন দাস, সৌম্য সরকাররাও তার থেকে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছে। অনেকদিন পর আবারো জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে ফিরতে পেরে খুশি জহুরুল কাজে লাগাতে চান তামিম ইকবালের অনুপস্থিতির সুযোগ। তামিম ছুটিতে থাকায় আবারও লাল-সবুজের জার্সি গায়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন অমি।
লাল-সবুজের হয়ে ৭টি টেস্ট, ১৪টি ওয়ানডে আর ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন জহুরুল। ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ২০১৩ সালে। তবে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন এখনো ছাড়েননি তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভালো পারফর্ম আরও আশাবাদী করছে তাকে।
এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের কণ্ঠে, ‘অনেকদিন পর প্রাথমিক দলে জায়গা পেলাম। সব খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন জাতীয় দলে খেলার। এই উদ্দেশ্যে নিয়েই প্রত্যেক বছর শুরু করি। এই বছর প্রিমিয়ার লিগে ভালো করার পর আমাকে এ দলে ডেকেছিল। এ দলেও ভালো হয়েছে ব্যাঙ্গালুরুতে। তারপর প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক পেলাম। এখন সব কিছু আমার চেষ্টা এবং আল্লাহর সহায়তার উপর।’
টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান ঘরোয়া ক্রিকেটে সাধারণত ওপেনিংয়ে নামেন। মাথা ঠান্ডা রেখে দীর্ঘ পরিসরের ইনিংস খেলার সুনাম আছে তার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবালের না থাকাটাকে নিজের এবং অন্যদের জন্য সুযোগ হিসেবে দেখছেন জহুরুল।
তার ভাষায়, ‘তামিম অনেক বড় মানের খেলোয়াড়। ওর অভাব পূরণ করাটা কঠিন। এখানে একটা সুযোগ যারা বাকিরা আছে সাদমান, ইমরুল, আমি, সৌম্য। টেস্ট ক্রিকেট ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফরম্যাট। যদি এখানে পারফর্ম করা যায় তাহলে সব ফরম্যাটে পারফর্ম করা সহজ। যেহেতু তামিম নেই যারা সুযোগ পাবে তাদের জন্য বড় সুযোগ।’
নিজের প্রচেষ্টার ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময় চেষ্টা করছি নিজের টেকনিক উন্নতি করার এবং ফিটনেস নিয়ে কাজ করার। বাকিটা নির্বাচকদের ইচ্ছা। উনাদের যদি দরকার মনে হয় তাহলে আমাকে নিবে। আমি আমার সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করব।’
আপনার মতামত লিখুন :