রফিক আহমেদ : বাংলাদেশের দেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেছেন, এবার চামড়ার দাম না পেয়ে দেশবাসী প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতির শিকার হয়েছে। চামড়ার এই অস্বাভাবিক কম দামে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় চামড়া ফেলে দেয়া, চামড়া বিক্রি না করে গর্ত করে পুতে ফেলার ঘটনা ঘটেছে অনেক জায়গায়। প্রায় এক চতুর্থাংশ চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার এক প্রতিক্রয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, পরিস্থিতির এক পর্যায়ে কাঁচা চামড়া রপ্তানির ঘোষণাও দেয়া হয়েছিলো। ট্যানারি মালিক, আড়তদার, খুচরা ব্যবসায়ী, মৌসুমি ব্যবসায়ী প্রত্যেকে প্রত্যেককে দোষারোপ করছেন। দেশের মোট চামড়ার অর্ধেকে সংগৃহীত হয় কোরবানি ঈদে। ঈদের দিন দুপুর থেকে দেশের জনগণ এক নতুন সংগঠিত চালবাজি প্রত্যক্ষ করেছে। সারা দেশ জুড়ে কোরবানির চামড়া নিয়ে সাধারণ মানুষের অস্থিরতা আর হাহাকার তৈরি হয়েছিলো।
তিনি অরো বলেন, ব্যক্তিগতভাবে চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়, কারণ প্রতিটি গরুর চামড়ায় ৮ থেকে ১০ কেজি লবন লাগে। ফলে এ সময়ে চামড়া নষ্ট হওয়ায় দেশের চামড়া শিল্প হুমকির মুখে পড়বে।
বাংলাদেশের চামড়ার মান উন্নত, শ্রমিক আছে পর্যাপ্ত, সে ক্ষেত্রে চামড়া শিল্প দেশের অর্থনীতিতে সম্ভাবনার যে দুয়ার খুলতে পারতো তা একদল সিন্ডিকেটের দ্রুত ও সাময়িক মুনাফার লোভে কি ধংসের পথে পা বাড়ালো? সম্পাদনা: সুতীর্থ, আহসান
আপনার মতামত লিখুন :