সাগর লোহানী : পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চোখ বেঁধে ঠায় বসিয়ে রেখে প্রবীর সিকদারের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এসময় পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে হুমকি দিয়ে বলে, ‘তোর এক পা নাই, এবার আরেক পাও থাকবে না এবং তোকে এক ক্রাচে নয়, দুই ক্রাচে হাঁটতে হবে বাকি জীবন’। এমনটাই ঘটেছিলো ৪ বছর আগে প্রবীর সিকদারের সাথে। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের ইঙ্গিতে জামিন পেলেও আজও ৫৭ ধারার সেই মামলায় আদালতে চক্কর কাটতে হচ্ছে প্রবীরকে। অদ্ভুত বিষয় এই ৪ বছর প্রবীর এবং তার পরিবারের সদস্যদের উপর দিয়ে চলেছে হুমকি, হামলা, এমনকি তার বোন, বোনের প্রতিবন্ধী সন্তান, কলেজ শিক্ষক বোনজামাই, প্রবীরের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়-পরিজনকে অপহরণ করে বাসে তুলে ফরিদপুর শহর ছাড়তে বাধ্য করা হয়। পুলিশ বা প্রশাসন কোনো মামলা তো দূরের কথা, সহযোগিতা পর্যন্ত করেনি তাদের।
কাটেনি প্রবীরের জীবনসংশয়! মুক্তিযুদ্ধে একদিনে বাবা, কাকাসহ পরিবারের ১৩ জনকে হারানো প্রবীর যুদ্ধাপরাধীর পেটোয়াবাহিনীর হামলায় পা হারিয়েছে, হাত অচল হয়েছে। অথচ কী আশ্চর্য, মুজিবাদর্শে অবিচল ও নিষ্ঠাবান আওয়ামী কর্মী এই প্রবীরের জীবন বাঁচাতে তখন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। কিন্তু আজ তিনি নীরব। তাই ৩ বছর আগেই বলেছিলাম, ‘যারা এখনো দু’পায়ে ভর দিয়ে হাঁটেন তারা যদি ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ নামের সোনার হরিণের খোঁজে থাকেন তবে দয়া করে আজই পঙ্গু হাসপাতালের সামনে থেকে ক্রাচ সংগ্রহ করুন। পরে কিন্তু ক্রাচের চাহিদা বেড়ে গেলে আর পাবেন না’। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :