শিরোনাম
◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:২০ সকাল
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পোস্তার-আড়তদারেরা এক একজন ২০-২৫টি ট্যানারি চালানোর মতো ক্ষমতা রাখেন

আনিস আলমগীর : অনেকে বলছেন যে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের মধ্যে সিন্ডিকেট হয়েছে। তারাই এবার চামড়া রাজারে ধস নামিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে দুই গ্রুপ মিলে ‘সিন্ডিকেট’ করে কিছু করছে এটা বিশ্বাস করছি না। কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ে নৈরাজ্যেরর জন্য বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ও আড়তদাররা পরস্পরকে দায়ী করলেও এই দুই সংগঠনের নেতাদের একটি বক্তব্য অভিন্ন। উভয়পক্ষই অনেকে বলছেন যে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের মধ্যে সিন্ডিকেট হয়েছে।

তারাই এবার চামড়া রাজারে ধস নামিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে দুই গ্রুপ মিলে ‘সিন্ডিকেট’ করে কিছু করছে এটা বিশ্বাস করছি না। কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ে নৈরাজ্যেরর জন্য বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ও আড়তদাররা পরস্পরকে দায়ী করলেও এই দুই সংগঠনের নেতাদের একটি বক্তব্য অভিন্ন। উভয়পক্ষই বলছেন, এ বছর টাকা না পাওয়াটাই কাঁচা চামড়ার দাম কমার অন্যতম প্রধান কারণ। আড়তদাররা বলছেন, ট্যানারি মালিকদের থেকে টাকা পাননি। আর ট্যানারি মালিকরা বলছেন, ব্যাংক থেকে টাকা পাননি। তাহলে অর্থমন্ত্রী যে বললেন চামড়া কেনার জন্য সাত শ’ কোটি টাকা দিয়েছেন সেটা কি মিথ্যা। মোটেও তাই নয়। কারণ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহর কথাতে তা ফুটে উঠেছে। তারা এই টাকা নিয়ে অতীতের দেনা ঠিকঠাক করেছেন। সাভারে ফ্যাক্টরি হস্তান্তরে ব্যয় হয়েছে বলেছেন। দেশের মানুষ দাম না পেয়ে কাঁচা চামড়া মাটিতে পুতে ফেলছে আর গত অর্থ বছরে বাংলাদেশে বিদেশি চামড়া আমদানি হয়েছে ৯৪৫ কোটি টাকার। ভাবা যায়! এইসব ঘটনা তো প্রমাণ করে না, এসব দেখার কেউ সরকারে আছে!বলছেন, এ বছর টাকা না পাওয়াটাই কাঁচা চামড়ার দাম কমার অন্যতম প্রধান কারণ। আড়তদাররা বলছেন, ট্যানারি মালিকদের থেকে টাকা পাননি। আর ট্যানারি মালিকরা বলছেন, ব্যাংক থেকে টাকা পাননি। তাহলে অর্থমন্ত্রী যে বললেন চামড়া কেনার জন্য সাত শ’ কোটি টাকা দিয়েছেন সেটা কি মিথ্যা। মোটেও তাই নয়। কারণ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহর কথাতে তা ফুটে উঠেছে। তারা এই টাকা নিয়ে অতীতের দেনা ঠিকঠাক করেছেন। সাভারে ফ্যাক্টরি হস্তান্তরে ব্যয় হয়েছে বলেছেন। মূলত আমাদের সিংহভাগ ট্যানারি মালিকের কাছে কোনও নিজস্ব মূলধন নেই। ঈদের সময় ব্যাংক থেকে যে টাকা পান সেটা দিয়েই তারা ব্যবসা করেন এবং ওই টাকায় বাড়ি গাড়ি নানা বিলাসিতায় ব্যয় করেন। এবার ব্যাংকগুলো থেকে যে টাকা তারা নিয়েছেন অনেককে সেটি রিসিডিউলিং করার সময় পূর্বের দেনা পরিশোধ করেছেন। ব্যাংকঋণ তারা আগে পরিশোধ করেননি কেন! করনেনি কারণ সবাই ব্যাংক লুটের ধান্দায় আছেন বলে। সত্য হচ্ছে, পোস্তার-আড়তদারেরা এক একজন এ রকম ২০/২৫টি ট্যানারি চালানোর মতো ক্ষমতা রাখে। তাদের আর্থিক মজবুতি এতই শক্ত। কিন্তু এবার তারা সম্ভবত ট্যানারিওয়ালাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মাল কেনেননি আর তার পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে সাধারণ মানুষের। তার পরিণতিতে চামড়া শিল্পে এই বিপর্যয় এসেছে। সংক্ষিপ্ত। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়