শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০১৯, ০২:৪৭ রাত
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০১৯, ০২:৪৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গত ১৪ দিনে কাশ্মীরে গ্রেপ্তার ৪ হাজার

লিহান লিমা: কাশ্মীরের সরকারী সূত্রের বরাত দিয়ে ফ্রান্সের সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে ভারত ৪ হাজারেরও বেশি কাশ্মীরিকে গ্রেপ্তার করেছে। কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করার পর কোন ধরনের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ ঠেকাতে এই হাজারো মানুষকে আটক করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশ না করার সূত্রে এক ম্যাজিস্টেটের বরাতে এএফপি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। হাফিংটন পোস্ট, এএফপি

ওই ম্যাজিস্ট্রেট এএফপিকে বলেন, কাশ্মীরে গ্রেপ্তারের বন্যা বয়ে গিয়েছে, কারাগারগুলো ধারণক্ষমতা হারিয়েছে। জননিরাপত্তা আইনের অধীনে কমপক্ষে ৪ হাজার ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এই বিতর্কিত আইনে কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের অভিযোগ ব্যতিতই কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে ও ২ বছর পর্যন্ত কারাগারে বন্দি রাখতে পারে। তিনি আরো বলেন, কাশ্মীরে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় তিনি রাজ্য জুড়ে গ্রেপ্তারকৃতদের আটকের পরিসংখ্যান বের করতে সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করেছেন।

এদিকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই পর্যন্ত কতজনকে আটক করা হয়েছে তার পরিসংখ্যান জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত সরকারের মুখপাত্র রোহিত কানশেল বলেছিলেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কতজনকে আটক করে হয়েছে তার কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি সায়েদ জাভেদ মুজতবা গিলানি বলেন, ‘জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমরা অস্বীকার করছি না। তবে গ্রেপ্তার এড়ানোরও চেষ্টা চলছে। কাউকে কাউকে রাজ্যের বাহিরে পাঠানো হয়েছে।’

এএফপির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী সরকার কাশ্মীরকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রেখেছে। কারফিউ আরোপ, টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে কাশ্মীরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটের ও বিধি-নিষেধ আরোপের কারণে উপত্যকার সব খবর পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার বুলেট-গানের চাদর বিছিয়ে বিক্ষোভ প্রতিরোধ করতে চাইছে।

শনিবার জম্মুতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলে সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাতে নিরাপত্ত বাহিনীর ও পাথর ছুঁড়ে প্রতিবাদ জানান বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আহত ১২জনের ও বেশি লোককে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, গানের আঘাতে বিদ্ধ অনেকে ধরা পড়ার ভয়ে হাসপাতালেও চিকিৎসা নিচ্ছেন না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়