সমীরণ রায়: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেগম জিয়ার শাস্তি হয়েছে এতিমদের অর্থ আত্মসাতের অপরাধে। এ দুর্নীতির কথা সারা দেশের মানুষ জানে। তার মুক্তির জন্য বিএনপি যদি বিদেশে ধর্না দেয়, তাহলে খালেদা জিয়ার দুর্নীতি দেশে যে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে, তা এবার বিদেশেও ছড়াবে।

সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের প্রচার কার্যালয়ে দলের প্রচার উপ-কমিটির বৈঠকের শুরুতে বিএনপি মহাসচিবের ‘আওয়ামী লীগ চামড়া শিল্প ধ্বংস করে দিতে চায়’-এমন মন্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, চামড়া শিল্প নিয়েও বিএনপির অপরাজনীতি সফল হয়নি। এ সরকারের আমলে চামড়া রপ্তানি ৪০০ মিলিয়ন ডলার থেকে সবমিলে ২ বিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। দেশে গত দশ বছরের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে পশু কোরবানি দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের ৩০-৪০ লাখ পশুর জায়গায় এখন প্রায় ১ কোটি কোরবানি হয়। সে তুলনায় ট্যানারির সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেনি, যদিও অনেক চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু পরিবেশবান্ধব তা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতায় চট্টগ্রামসহ বেশকিছু স্থানে ট্যানারি বন্ধও হয়ে গছে। এবারের ঈদে এ অবস্থারই সুযোগ নিতে চেয়েছিল কিছু মুনফা লোভীরা। সেকারণেই চামড়ার দরপতন হয়। আর বিএনপি চেয়েছিল এটা নিয়ে অপরাজনীতি করতে। কিন্তু তারা সফল হয়নি, সিন্ডিকেটের বিষয়টি পূর্ণ তদন্তে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টিইমাম সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রকারী, তাদের সমমনা সন্তান ও দোসরেরা বিভিন্ন দলের নামে চক্রান্তমূলক কর্মকাণ্ড ও গুজব বিস্তারের প্রমাণ করেছে। তারা এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এরা যেখানেই থাকুক, বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রচার উপ-কমিটির সদস্য সুভাষ সিংহ রায়, তারিক সুজাত, কাশেম হুমায়ুন, এনামুল হক খসরু প্রমুখ।