গোপাল অধিকারী, (ঈশ্বরদী) পাবনা : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন,‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প দেশের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে যারা দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করছেন তারা হলেন দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা।’
শনিবার সকালে ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অনুষ্ঠিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রকল্প কর্মরতদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘শোক দিবসের আলোচনার এটাই প্রকৃষ্ট স্থান। রূপপুরের এই মহাকর্মযজ্ঞকে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ ভেবে কাজ করতে হবে। নতুন প্রজন্মের অনেকেই আছেন, যারা একাত্তর দ্যাখেননি এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের মধ্যে ছিল রূপপুর প্রকল্প। প্রকল্পের কাজ নতুন প্রজন্মকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। কারণ এখানে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে।’
প্রকল্প পরিচালক ড. শওকত আকবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রী ওসমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো মহাপ্রাণের জন্ম না হলে এ দেশের জন্ম হতো না। মানব দরদী মহান নেতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনীতির কবি। রাজনীতির এই কবিকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেছেন আরেকজন মহাপ্রাণ-তাঁরই স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিতুলন্নেছা মুজিব। যিনি নিরবে, নিভৃতে পেছনে থেকে বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বঙ্গমাতাকেও প্রতিদিন স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানাতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক ড. শওকত বলেন, রূপপুর প্রকল্প বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের শ্লোগানে নিহিত ছিল। রুপপুরের এই প্রকল্প নিউক্লিয়ার টেকনোলজি উন্নয়নের মাধ্যমে বিজ্ঞান ভিত্তিক রাষ্ট্রে প্রবেশের পাসপোর্ট। আর এই পাসপোর্ট নিয়েই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে প্রবেশ করছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্পের কনসালটেন্স ড. এম শফিউল্লাহ, রাশিযান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয় একসপোর্টের পরিচালক ইটুপিলভ, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যললয়ের অধ্যাপক সৈযদ আব্দুল মফিজ। প্রকল্পের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা অলোক চক্রবর্তির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাইট ডিরেক্টর প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ও প্রকৌশলী হাসান বশির। সম্পাদনা : মিঠুন
আপনার মতামত লিখুন :