শিরোনাম
◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০১৯, ০৩:২৪ রাত
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৯, ০৩:২৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিবাদে কাশ্মীরে ব্যাপক বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

আসিফুজ্জামান পৃথিল : শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কাশ্মীরি তরুণরা অনির্ধারিত ভাবে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বলে এএফপি নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে এএফপি’র প্রতিনিধি জানিয়েছেন শুধু শ্রীনগরেই নয় কাশ্মীরের প্রত্যন্ত এলাকাতেও একাট্টা হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তরুণ ও যুবকরা। তবে শ্রীনগরের মিছিলটি প্রকাশ্যে এসেছে। এএফপি, সাউথ এশিয়ান মনিটর।

শুক্রবার বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে আতর্কিতভাবে কাশ্মীরিরা জামা মসজিদের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করে। এসময় পুলিশ তারা পুরোপুরি জমায়েত হওয়ার আগেই টিয়ার গ্যাস ও ছররা গুলি ছুড়তে শুরু করে। তাই প্রথম অবস্থায় বিক্ষোভকারীরা শ্রীনগরের প্রধান সড়কে উঠতে পারেননি। এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ে মারে এবং দোকানের সাইনবোর্ড এবং টিনের পাতকে ব্যবহার করে ছররা গুলি থেকে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করে। সংঘর্ষে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এক বিক্ষোভকারী এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা অবরোধ উপেক্ষা করে শহরের কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু পুলিশ আমাদের থামানোর জন্য শক্তি প্রয়োগ করেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকার অন্যান্য অংশেও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। একজন ফ্রিল্যান্সার তথ্যদাতা নিজের পরিচয় গোপনের শর্তে জানিয়েছেন, উপত্যকার ভেতরের অংশে রীতিমত সামরিক আইন বলবৎ আছে। মানুষ কার্যত গৃহবন্দী। এখানে অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনী। সামরিক কনভয় ও ইউনিফর্ম দেখলেই মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পরছে।

উপত্যকার অধিকাংশ শহরেই কারফিউ জারি রয়েছে, এবং সরকারী বাহিনী বিশেষ পাসধারীদেরকেই কেবল চলাচলের অনুমতি দিচ্ছে। খাড়া ব্যারিকেড এবং কাঁটাতার দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সড়ক বন্ধ করে রেখেছে সরকারী বাহিনী। উপত্যকায় বড় ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং টানা দ্বিতীয় শুক্রবার মসজিদগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। আরেক বিক্ষোভকারী এএফপিকে বলেন, ‘যেটা আমাদের, আমরা সেটা চাই। আমরা কোন ভিক্ষা চাচ্ছি না, বরং আমাদের দাবি চাচ্ছি যাতে ভারত তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। কাশ্মীর ভারতের নয়। এই মাটি আমাদের। ভারত থেকে পুরোপুরি স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না।’ বিক্ষোভকারীরা শ্রীনগরের প্রধান সড়ক ধরে বিক্ষোভ করে এবং এ সময় তারা শোকের প্রকাশ হিসেবে কালো পতাকা বহন করে। তাদের বহন করা প্ল্যাকার্ডে ‘গো ইন্ডিয়া, গো ব্যাক’ লেখা ছিল। সম্পাদনা : ইকবাল খান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়