খালিদ আহমেদ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের চিকিৎসাকে এগিয়ে নিতে সবধরনের উদ্যোগ নেবে সরকার। প্রয়োজনে দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠানো হবে, বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার গণভবনে সম্প্রতি ঢাকার সিএমএইচ-এ জোড়ালাগানো জমজ শিশুদের অস্ত্রোপচার সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করা চিকিতসকদের এসব কথা বলেন। এখান উপস্থিত ছিলেন অস্ত্রোপচারে অংশ নেয়া বাংলাদেশি ও হাঙ্গেরীয় চিকিৎসকদল, জোড়া লাগানো জমজ রাবেয়া-রোকেয়ার বাবা সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে রাবেয়া ও রোকেয়ার মত জোড়া লাগানো জমজদের আলাদা করার মতো জটিল অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর থেকে জটিল চিকিৎসা যেন আমাদের দেশে করা যায়, তার জন্য সব ধরনের শিক্ষার ব্যবস্থা করবো।’
সরকার এজন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের বিদেশে পাঠানোসহ শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করবো। এ জমজ শিশুর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা বিশাল অভিজ্ঞা অর্জন করেছেন। এখন আমরা এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আরো উন্নয়নে মনোনিবেশ করবো।’
চলতি বছরের ২ আগস্ট ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) দীর্ঘ ৩৩ ঘন্টার সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো জমজ শিশু রাবেয়া ও রোকেয়াকে আলাদা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং হাঙ্গেরীর সরকারি সংস্থা ডিফেন্সলেস পিপল ফাউন্ডেশনের (এডিপিএফ) সহযোগিতায় এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এর আগে জমজ শিশুদের চিকিৎসার জন্য হাঙ্গেরী পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে-বিদেশে তাদের চিকিৎসার সকল খরচ বহন করেন। পাবনার চাটমোহর উপজেলায় তারা জন্মগ্রহণ করে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে এই অনুষ্ঠানে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল সার্ভিসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. ফশিউর রহমান, ডিজিএমএস-এর কনসালটেন্ট সার্জন জেনারেল মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, ড. হাবিবে মিল্লাত এমপি, হাঙ্গেরীয় চিকিৎসক দলের ডা. কেসাপোডি, ডা. কোসোকি এবং পাটাকি বক্তব্য রাখেন। এছাড়া রাবেয়া-রোকেয়ার বাবা মো. রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও বক্তব্য রাখেন।
আপনার মতামত লিখুন :