শিরোনাম
◈ পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক ◈ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ◈ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার টু শব্দ করার সাহস পাচ্ছে না: বিএনপি ◈ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয় পুলিশ ও বহুজাতিক নৌবাহিনী ◈ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডিবিতে অভিযোগ করলেন জবি ছাত্রী ◈ ঈদের পর কাওরান বাজার যাবে গাবতলীতে: মেয়র আতিক ◈ আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা কয়লায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই: এস আর শিপিং ◈ পাপেট সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সব নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলবে যুক্তরাষ্ট্র: জয়  ◈ চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে তিন দিন লাগতে পারে: রেল সচিব ◈ তামিম ও রিশাদ ঝড়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট, ২০১৯, ১১:৫০ দুপুর
আপডেট : ১৬ আগস্ট, ২০১৯, ১১:৫০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান মারা গেছেন

আবদুল অদুদ : একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান মারা গিয়েছেন ( ইন্না লিল্লাহী … রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।-বাসস

শুক্রবার সকালে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিজিয়া রহমান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ক্যানসার ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।

রিজিয়া রহমান ১৯৩৯ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে চলে আসেন। লেখালেখির শুরু ষাটের দশকে। গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও শিশুসাহিত্যে তার রয়েছে উল্লেখযোগ্য অবদান। তবে মূল পরিচিতি ঔপন্যাসিক হিসেবেই। তার লেখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ঘর ভাঙা ঘর’, ‘উত্তর পুরুষ’, ‘রক্তের অক্ষর’ ও ‘বং থেকে বাংলা, ‘ধবল জ্যোৎস্না’, ‘সীতা পাহাড়’, ‘উৎসে ফেরা’ প্রভৃতি।

রিজিয়া রহমান উপন্যাসে অবদানের জন্য ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য পরে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

রিজিয়া রহমানের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আজ এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, রিজিয়া রহমান ছিলেন একাধারে লেখক, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা যথা- গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও শিশুসাহিত্যে ছিল তার অবাধ বিচরণ। তার মৃত্যু এদেশের সাহিত্য অঙ্গণের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য এ খ্যাতনামা ঔপন্যাসিককে এদেশের মানুষ দীর্ঘকাল স্মরণ রাখবে।

তারঁ এবং তাঁর লেখার সাথে আমার দীর্ঘদিনের নিবির পরিচয়।সেই মগবাজার থেকে ডিওএইএস অতঃপর উওরায ছিল আমার নিরবচ্ছিন্ন যাতাযাত।নিরহংকার মধুর আচরণ আকাশের মত উদার মানুষটির ভালোবাসা এবং অসাধারণ মানবিক লেখার টানে আমি বারবার ছুটে গেছি। সম্পাদেনার আগেই পুরো লেখাটা মন্ত্রমুগ্ধর মত পড়ে শেষ করেছি।বেশ কয়েকদিন লেখার রেশ আমার মনে অনুরণন তুলতো।সবচেয়ে বড় কথা রিজিযা রহমানের লেখার একটি দৃঢ়তা ছিল ।গণ মানুষের জীবন চেতনা নিপুণ ভাবে প্রতিফলিত হতো। রিজিযা রহমান লেখার সাথে নিজেকে মিলিয়ে মিশিয়ে আপন করে নিতে পারতেন । মনে হতো তিনি যে পরিবেশে বড় হয়েছেন যে পরিস্থিতির মধ্যে জীবন কাটিয়েছেন সেখানে কোন ফাঁক বা ফাঁকি ছিল না।মানুষের জীবন কে খুব কাছ থেকে না দেখলে লেখায় এমন উষ্ণতার সন্চয হতে পারেনা।এখানে ই রিজিযা রহমান নমস্য , অনন্য ।

সম্পাদনা : সমর চক্রবর্তী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়