মাসুদ আলম : দুই বছর আগে রাজধানীর পান্থপথে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অবস্থান নিয়ে নব্য জেএমবির এক জঙ্গি জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে আরও ১৪ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। ওই ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলেই আগামী সপ্তাহে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের র্যালীতে হামলার উদ্দেশ্যে হোটেল ওলিও’তে অবস্থান নেয় নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য সাইফুল ইসলাম। পরবর্তীতে পুলিশি অভিযানের আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয় সাইফুল ইসলাম। গত দুই বছর তদন্তে হামলা মামলায় ১৫ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। এদের মধ্যে ১৪ জন গ্রেপ্তার হয়ে করাগারে রয়েছে। আরেক জন সাইফুল ইসলাম আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয়। গ্রেপ্তার ১৪ জন হলো- মূল পরিকল্পনাকারী মাস্টারমাইন্ড আকরাম হোসেন খান নিলয়, অর্থ সরবরাহকারী তানভীর ইয়াসীন কবির, আবু তুরাব খান, সাদিয়া হোসনা লাকি, হুমায়রা জাকির নাবিলা ও তাজরীন খানম শুভ। ঘটনায় বোমা সরঞ্জাম সরবরাহ করে আবুল কাশেম ফকির, লুলু সরদার ওরফে শহিদ মিস্ত্রি, তাজুল ইসলাম ছোটন। বোমা প্রস্তুত করে নাজমুল হাসান মামুন। ঘটনায় আশ্রয়দাতা ও সহায়তাকারী নব মুসলিম আব্দুল্লাহ, কামরুল ইসলাম শাকিল, তারেক মো. আদনান ও আব্দুল্লাহ আয়চান কবিরাজ। তাদের মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। চার্জশিট অনুমোদনের জন্য গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই দিন বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিরা।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, হোটেল ওলিওতে হামলা মামলার অভিযোগপত্র চুড়ান্ত। এ ঘটনায় ১৫ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজন আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মারা গেছে। অভিযোগপত্রে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যে কোনো সময় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :