হ্যাপি আক্তার : ষাটোর্ধক প্রবীণের মর্যাদা দেয়া হলেও, দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে আলাদা কোনো ইউনিট নেই। দেশে প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবায় জেরিয়াট্রিক মেডিসিন বিষয়ে পড়াশোনার কোনো ধরণের ব্যবস্থা নেই, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। বিবিসি বাংলা, ৭:৩০।
সর্বশেষ ২০১১ সালে আদমশুমারি অনুযায়ী প্রবীলের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখের মতো। এতো দিনে হয় তো তা দেড় কোটিতে পৌঁছে গেছে।
জেরিয়াট্রিক কনসালটেন্ট ডা. আমিনুল হক বলেন, ৬০ বছর পর মানুষের শরীরিরে যে বিভিন্ন অসুস্থতা ধরা পড়ে, তরুণ বয়সে যে শক্তি, তা থাকে না। শারীরিক দিক থেকে একজন বয়স্ক মানুষের দুর্বলতা ও রক্তশূন্যতা বিরাট ব্যাপার। কারো কারো ব্লাড প্রেসার, কিডনি রোগ, ডায়বেটিসসহ নানান রোগ ধরা পড়ে। এই বিষয়গুলো তরুণদের যেভাবে চিকিৎসা করা হয়, বয়স্কদের সেভাবে চিকিৎসা করা যায় না।
ডা. আমিনুল হক জেরিয়াট্রিক স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করেছেন। তিনি বললেন, দেশে প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবায় জেরিয়াট্রিক মেডিসিন বিষয়ে পড়াশোনার কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেই। সরকারি হাসপাতালগুলোতেও আলাদা কোনো ইউনিট নেই।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছোট পরিসরে জেরিয়াট্রিক সেবা চালু হয়েছে। প্রবীণ হাসপাতালে গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. লায়লা সাবিকুন্নাহার বলছেন, জেরিয়াট্রিক সেবার অভাবে বয়স্ক নারীরা সমস্যায় পড়েন।
প্রবীণদের সেবায় দেশে সবচেয়ে পুরনো সংগঠন প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম আতিকুর রহমান বলেন, প্রবীণদের স্বাস্থ্য সেবায় এখনি বিনিয়োগ না করলে দেশ বড় ধরনের বিপদে পড়বে।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা বিষয়ক সংস্থা ইউএনএফপি এর হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে প্রবীণদের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি হয়ে যাবে। ৩০ বছরের মধ্যে প্রবীণদের জনসংখ্যা অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও তরুণদেরও ছাড়িয়ে যাবে। সম্পাদনা : রাশিদ/মঈন
আপনার মতামত লিখুন :