আমিন মুনশি : কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় কুরবানির বিধান রয়েছে। সুরা বাকারা: ১৯৬; সুরা মায়েদা: ২, ৯৫; সুরা আনআম: ১৬২; সুরা হজ: ২৭-৩৭ ও সুরা কাউসার। তার মধ্যে সুরাতুল আনআম ও সুরাতুল কাউসারে সাধারণ কুরবানি আর অন্যান্য সূরায় হজের কোরবানির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সামর্থ্যবান ব্যক্তির পক্ষে একা কোরবানি করা বিভিন্ন কারণে উত্তম। তবে শরিকে কুরবানির বিধান উম্মতকে অবকাশ দিয়েছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, আমরা হজের ইহরাম বেঁধে আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে বের হলাম। তিনি আমাদের আদেশ করলেন, যেন প্রতিটি উট ও গরু সাতজন করে শরিক হয়ে কোরবানি করি। (মুসলিম শরীফ: ১/৪২৪) অন্য বর্ণনায় আছে, নবী (সা.) বলেন, (একটি) গরু সাতজনের পক্ষ থেকে এবং (একটি) উট সাতজনের পক্ষ হতে (কুরবানি করা যায়)। (আবু দাউদ: ২/৩৮৮)
ফকিহগণ শরিকে কোরবানি সংক্রান্ত হাদিসের ব্যাপারে বুঝেছেন, শুধু সফর নয়, বরং সর্বাবস্থায় ৭ জন মিলে একটি গরু বা উট কুরবানি দিতে পারেন। এ সংক্রান্ত মাসয়ালায় তারা মোটেও সফরের কথা উল্লেখ করেননি। তবে শরিক নির্বাচনে সতর্কতা কাম্য। আল্লাহর কাছে কোরবানি কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো হালাল উপার্জন দ্বারা কুরবানি করা। হাদিসে আছে, নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র আর তিনি শুধু পবিত্র বস্তুই গ্রহণ করে থাকেন। (মুসলিম: ১০১৫)
তেমনি কোরবানি হতে হবে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও সন্তুষ্টির জন্য। হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, সকল আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। ( বুখারী: ১) যেহেতু সব শরিকের পক্ষ থেকে একটি পশু জবেহ করা হচ্ছে তাই সবার নিয়ত ও উপার্জন শুদ্ধ হওয়া জরুরি। ফকিহদের মতে, কোনো শরিকের পুরা বা অধিকাংশ উপার্জন হারাম হলে কিংবা কেউ শুধু গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে শরিক হলে কারো কোরবানি সহিহ হবে না। (সূত্র: ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া ৩/৩৪৯, ৪০০; আলমগিরি ৫/৩৪২; আহসানুল ফাতাওয়া ৭/৫০৩)
আপনার মতামত লিখুন :