আবদুস সাত্তার আইনী : ঈদের দিন ছুরি হাতে দৌড়াদৌড়ি করতে আপনার কেমন লাগতো? আমি দীর্ঘ ৮ বছর এই গ্লানিকর অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গিয়েছি। যদিও মাদরাসায় ফ্রি খেতাম বলে কাজটি আমার দায়িত্ব মনে হতো।
ফ্রি খাওয়ারও গ্লানি কম নয়। গ্রাম থেকে এসে বাইতুস সালাম মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ভর্তি হলাম মক্তবে। আগে কখনো শহরে এসে থাকি নি। আর ঢাকায় এসেছি এই প্রথম। পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছিলো। ভর্তিও হয়েছিলাম অন্যদের চেয়ে একমাস পর। শুরুর দিকে পড়া পারতাম না। একদিন এক শিক্ষক বললেন, ফ্রি খায় তো, পড়া-লেখার খবর নাই।
জামিয়া রাহমানিয়াতেও আমি বাংলা-টাংলা চর্চা করি দেখে আমার এক সহপাঠী বলেছিলো, ফ্রি খায়া হুঁশ নাই। কওমি মাদরাসা ধারার এতিমখানাগুলো তৈরি করা হয়েছে এতিমদের সুরক্ষা ও শিক্ষাদানের জন্য। কিন্তু এখানে এতিমের জলভরা চোখে করাঘাত-করা মানুষের সংখ্যা একেবারেই কম নয়।
তো, ফ্রি খাওয়ার গ্লানি অনেক। যারা ফ্রি খায় তাদের জন্য ঈদের দিন ছুরি হাতে দৌড়াদৌড়ি অনিবার্য। কিছু কিছু মাদরাসায় যারা টাকা দিয়ে খায় তাদেরও এই কাজ করতে হয়। জানি না তাদের কেমন লাগে। অনেকে হয়তো কাজটি উপভোগ করে, তাদের এটা ভালো লাগে।’ ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :