ইনামুল হাসান ওয়ায়েস : ‘নির্মাণাধীন কমপ্লেক্স’ মারাতে প্রায় সারা বছর ধরে মিস্ত্রি-জোগালি পুষতে পারেন, অথচ বছরে মাত্র একটা দিন চামড়া টানাতে ছাত্রদেরকেই কেন আটকে রাখেন তাদের পরিবারের কাছ থেকে? ওইদিন কেন শ্রমিক ভাড়া করতে পারেন না?
চামড়া টানায় অনুপস্থিত থাকলে জরিমানা এক হাজার টাকা চাঁদা নেবেন আবার ছাগলের মত ম্যাঁৎকার করে বলেন, “জোর-জোবস্তি নেই, সওয়াবের জন্যে ওরা কালেকশন করে”! কশাইর গোষ্ঠী কোথাকার!
মাদরাসায় পড়ার সময় কখনোই পরিবার ছাড়া কুরবানীর ঈদ উদযাপন করি নি। চামড়া না-টানার শাস্তি হিসেবে পাওনা ছিল টেপ প্যাঁচানো জালিবেতের ভয়ঙ্কর বেত্রাঘাত। অবশ্য আমাকে কখনো বেত্রাঘাত পেতে হয় নি। কারণ, জামিন হিসেবে আমাদের কুরবানীকৃত গরুর চামড়া দিয়ে বেত্রাঘাত থেকে রক্ষা পেতাম। যেবার আব্বা অন্য মাদরাসায় চামড়া দান করতেন, সেবার পাঁচশ টাকা চাঁদা দিতাম ওসব ডাকাতদের।
তখন বিষয়টা শুধু বেত্রাঘাত থেকে রক্ষার একটা মাধ্যম বলে মেনে নিতাম। এখন বিষয়টা চরম একটা ডাকাতেপনা থেকেও নিকৃষ্ট যুলুম মনে করি!
দুই.
‘তেনারা’ দুনিয়ার সকল লোকের সমালোচনা করিতে পারেন। দেশের বুদ্ধিজীবী, লেখক, শিক্ষক থেকে নিয়া রাজনীতিবিদগণ বাদ যায় না ‘তেনাদের’ সমালোচনা থাকিয়া। অতঃপর কেহ যদি “তেনাদের” কোনো কাজের সমালোচনা করে, তাহা হইলে আর রক্ষে নেই। বস্তুত আমার মত ক্ষুদ্র লোকের বিচারে “তেনারাই” আদি ও আসল ফ্যাসিবাদী।
জানিয়া রাখা ভালো যে, ফ্যাসিবাদ শব্দটা শুধু রাজনীতি বা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার্য কোনো শব্দ নহে; যাহাদের স্বভাবে “তেনাদের” মত ওই বদ-হজমী আলামত পাওয়া যাইবে, আপনি বুঝিয়া লইবেন তাহারাই ফ্যাসিবাদী!’ ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :