আসিফুজ্জামান পৃথিল : জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এ প্রতিশ্রুতি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের বিষয়ে পুরো ভাসনেই কথা বলেছেন তিনি। তিনি বরলন, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের জনগন এতোদিন অধিকার বঞ্চিত ছিলো। এখন সেই বঞ্চনা দূর করবে বিজেপি সরকার। এনডিটিভি, অল ইন্ডয়া রেডিও।
মোদী বলেছেন, তার সরকার চেষ্টা করছে আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উৎসবে যেনো কোনো বিঘ্ন না ঘটে। যারা ঈদ করতে কাশ্মীর যেতে চান, তাদেরও সহায়তা করা হবে। তিনি বলেছেন, সরদার বণ্ণভভাই প্যাটেল, বিআর আম্বেদকর, শ্যামা প্রকাশ মুখোপাধ্যায়, অটল বিহারী বাজপেয়ীর স্বপ্ন পূরণ করতেই সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করেছে। জম্মু কাশ্মীরে একটি নতুন যুগের সূত্রপাত হয়েছে। নাগরিকদের এখন ভারতের অন্য নাগরিকদের মতোই সমঅধিকার ও দায়িত্ব আছে। তিনি দাবি করে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ জম্মু-কাশ্মীরের শিশুদের ক্ষতির কারণ হচ্ছে। কিন্তু তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনাও হতো না। জনগন ৩৭০ অনুচ্ছেদ থেকে কি সুবিধা পাওয়া যেতে পারে তাইই জানতো না। এই অনুচ্ছেদ কাশ্মীরকে জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদের দিকে নিয়ে গিয়েছিলো। এছাড়াও শুরু হয়েছিলো পরিবারতন্ত্র ও দুর্নীতি। এর আগে পার্লােেমন্টে তৈরি করা আইনে দেড় কোটি মানুষের কোনো উপকার হতো না। তারা রএখন উপকার পাবেন। মোদী আরো বলেন, কাশ্মীরে বড় ধরণের বেকারত্বের সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। তরুণদের চাকরি ছিলেঅ না, মানব উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছিলো। কাশ্মীরে ঠিকভাবে ভোট হতো না। এখন কাশ্মীরে ভোট হবেম ব্যপক বিনিয়োগ হবে, বেকারত্ব হারিয়ে যাবে। কাশ্মীরের পন্য সারা দুনিয়ায় যাবে। কাশ্মীরের হারবাল পণ্য ভারতের মানুষ পেতো না। এখন তারা তা পাবে।
তবে মোদীর এই বক্তব্যের বিরোধীতা করতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন পুরো ভারতের চেয়ে মানব উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে কাশ্মীর। বেকারতত্বের হার পুরো ভারতের অধেক। বরং নিজের ভাসনে কাশ্মীরে সেটেলার সমস্যা শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছেন মোদী।
আপনার মতামত লিখুন :