শেখ নাঈমা জাবীন : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে পাকিস্তানীদের নির্যাতনের শিকার কাবেরুন্নেসার পরিবারের স্বীকৃতি মেলেনি গত ৪৮ বছরেও। রাজাকারের সহায়তায় এই পরিবারের প্রধান কালা মিয়াকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। তার খোঁজ আজও মেলেনি। তারা পাশবিক নির্যাতনের চালিয়েছিলো এই পরিবারের এক কিশোরির উপর।
জীবনের শেষ প্রান্তে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার উনা গ্রামের বৃদ্ধা কাবেরুন্নেসা। স্মৃতি হাতড়ে জানান, ১৯৭১ সালের আগস্টে নিখোঁজ হয়েছিলেন তার স্বামী কালা মিঞা। তবে ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কি ঘটেছিলো জানতে পারেননি আজো।
কাবেরুন্নেসার সন্তান সিদ্দিকুর জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় আগস্টের মাঝামাঝি সময় পাকিস্তানী বাহিনী ধরে নিয়ে যায় তার বাবাকে। সেই সময় তাকে নিয়ে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচেন মা কাবেরুন্নেসা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, রাজাকারদের সহায়তায় সেদিন গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা খুঁজতে হানা দিয়েছিলো পাকিস্তানী বাহিনি। খবর পেয়ে যে যেদিকে সম্ভব পালিয়ে গিয়েছিলো গ্রামের মানুষ। তবে সাহসী কালা মিঞা ছিলেন নিজ বাড়িতেই। কাউকে না পেয়ে তাই এই পরিবারের উপরেই চড়াও হয়েছিলো হানাদাররা।
অনেকে বলেন, সেদিন পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলো কালা মিঞার ১৪ বছরের কন্যা সন্তান। বিচার তো দূরের কথা, স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও স্বীকৃতি পাননি কালা মিঞা বা তার পরিবার। দেরিতে হলেও নিখোঁজ কালা মিঞাকে শহীদের মর্যাদা দেয়ার দাবি এলাকাবাসীর। সম্পাদনা : রাকা চৌধুরী
আপনার মতামত লিখুন :