শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ০৮ আগস্ট, ২০১৯, ০৩:৫৬ রাত
আপডেট : ০৮ আগস্ট, ২০১৯, ০৩:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু কাশ্মীরকে খণ্ডিত করা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি গণতন্ত্রকামী জনগণ কারও কাছে গ্রহণযোগ্য নয়

আরিফা রাখি : বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান বুধবার (০৭ আগস্ট) সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ঐতিহাসিক সম্মতির মাধ্যমে স্বীকৃত সাংবিধানিকভাবে গৃহীত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষত্ব ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে চলে আসছিল। সেক্যুলার ঘোষিত ভারতকে হিন্দুত্ববাদী শৃঙ্খলে শক্ত পোক্ত করে বাঁধার অংশ হিসাবে গেরুয়াধারী বিজেপি সরকার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ৩৭০ ধারা ও ৩৫(ক) বাতিলের মধ্য দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এহেন উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্য মর্যাদার স্থান থেকেও জম্মু কাশ্মীরকে নিচে নামিয়ে আনলো। ২০১৮ সালে জম্মু কাশ্মীর এসেম্বলি বাতিল করার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডারে এই পরিবর্তনের ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল। ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপ শুধু ভারতবর্ষেই নয় উপমহাদেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িকতার অশান্তির ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করে তুলতে পারে। জম্মু কাশ্মীরকে খণ্ডিত করা এবং ১৪৪ ধারা ও কার্ফু জারি করা, সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজনীতিকদের গৃহবন্দি করে যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো সেনা উপস্থিতির ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি ভারতের সেক্যুলার গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি আরো বলেন, কাশ্মীরের সংখ্যাগুরু মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করা ও সম্পত্তির ব্যাপক হস্তান্তরের ভবিষ্যত নীল নক্সা নিয়ে অগ্রসর হলে তা সংশয়, সংঘাত ও উগ্রবাদী তৎপরতাকে ক্রমাগত বাড়িয়ে তুলবে। এমনকি সন্ত্রাসবাদী নানা অপশক্তির নাক গলানোরও সুযোগ করে দিতে পারে। কাশ্মীরের বিশেষত্ব বাতিল করে এক অভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংহতি বিধানের যুক্তি হাজির করা হলেও লুকানো উদ্দেশ্যে অধীনস্ত করা। এর মধ্য দিয়ে দমন-পীড়ন অসমতা নতুন মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে এবং বহু রাজ্যে নতুন বিতর্কের জন্ম দেবে।

বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান বলেন, আসাম পরিস্থিতি নিয়েও বাংলাদেশের জনগণের উদ্বেগের কারণ রয়েছে। আমরা ভারতের সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল জনগণের আন্দোলনের সাথে সংহতি রেখে বাংলাদেশের জনগণকে সেক্যুলার গণতান্ত্রিক শক্তি নির্ভর সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।

সম্পাদনা : মিঠুন, মুনশি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়