আক্তারুজ্জামান : এ বছরের সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডের মাঠে গড়াবে এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ নারী টুর্নামেন্ট। আসর সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। প্রতিপক্ষ কঠিন হলেও ভালো করার প্রত্যয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। নতুন ফুটবলার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে নীতি। পরিবর্তন করতে হবে মানসিকতার। নৈতিকতার উন্নতি ঘটলেই দেশের ফুটবলেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এমনটাই মনে করেন নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।
বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে ফুটবলার বাছাই প্রক্রিয়ার চেয়ে বাংলাদেশে কিছুটা ভিন্ন। ফুটবলাররা খেলবে, ইনজুরিতে পড়বে, আবার ফিরেও আসবে। কিন্তু এদেশে বয়সভিত্তিক ও খেলোয়াড় বাছাই এর ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। এখানে চলে শুধু প্রতিযোগিতার তাড়া।
বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা এখন অনেকটা জায়গা নিয়ে আছে দেশের ফুটবল অঙ্গনে। বর্তমানে ভালোও করছে তারা। কিন্তু সম্প্রতি অনূর্ধ্ব ১৪ বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট জেএফএ কাপে বয়স লুকানো নিয়ে যে কাণ্ড ঘটে গেলো তা কিছুটা সংশয়ে ফেলেছে দেশের নারী ফুটবলকে। তাই নারী দলের কোচ ছোটন মনে করেন, ফুটবলের স্বার্থে হলেও নৈতিকতার উন্নতি ঘটাতে হবে। পরিবর্তন আসবে মনমানসিকতার।
এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ চূড়ান্ত রাউন্ড খেলতে থাইল্যান্ড যাবে দেশের নারী ফুটবলাররা। এরপর ভুটানে হবে অনূর্ধ্ব ১৫ সাফ। ডিসেম্বরে নেপালে এসএ গেমসের আসর। সব মিলিয়ে ব্যস্ত সূচি দেশের নারী ফুটবলারদের।
এতোগুলো টুর্নামেন্টে প্রত্যাশা বরাবরের মত ভালো করার। নারী দলের ফুটবলার মারিয়া ও আঁখি বলেন, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান শক্তিশালী দল। তবে আমরাও ভালো খেলার চেষ্টা করবো। অবশ্য টুর্নামেন্টের আগে মেয়েদের প্রস্তুতি সীমাবদ্ধ থাকছে শুধু অনুশীলনেই।
আপনার মতামত লিখুন :