বেলাল হোসেন : চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরিবর্তন আসছে কর্মসংস্থানে। সরকারের এটুআই প্রকল্পের গবেষণা বলছে, এ প্রকল্পের প্রভাবে পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে চাকরি হারাতে পারেন প্রায় ৫৫ লাখ মানুষ। আবার এর ফলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে। স্কুল পর্যায়ে রোবোটিক্স ও আধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষা চালুর পরিকল্পনা করেছে সরকার। রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ইনডিপেডেন্ট টিভি
সাভারের একটি ফার্নিচার কারখানায় কিছুদিন আগে চালু হয় এই রোবাটিক প্রযুক্তি। এখানে মানুষের পরিবর্তে আধুনিক ডিজাইনের আসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে মেশিনের মাধ্যমে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে উৎপাদন বাড়ায় আগ্রহী হয়েছেন উদ্যোক্তারাও।
এটুআই প্রকল্পের গবেষণা বলছে, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ায় চাকরি হারানোর শঙ্কায় পোশাক খাতের ২৭ লাখ কর্মী, ফার্নিচারে ১৫, কৃষি আর পর্যটনে ১২ এবং চামড়াখাতে এক লাখ মানুষ চাকরি হারাতে পারেন।
গবেষণা বলছে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব শুধু চাকরি হারানোর শঙ্কা তৈরি করছে এমন নয়। এই প্রযুক্তির ফলে নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরিও হবে।বিশ্লেষকরা জানান, এসব উচ্চ প্রযুক্তির মেশিন চালানোর জন্য দরকার হবে দক্ষ জনবল। এছাড়াও মেশিন তৈরিতেও বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তবে নীতি নির্ধারকরা বলছেন, শুরুতে মেশিন চালানোর মতো দক্ষ লোকবল তৈরিতে জোর দিতে চান তারা। দক্ষ লোকবল তৈরির প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়েছেন সেমিনারে অংশ নেয়া জাতিসংঘের আইএলও প্রতিনিধিরা। সম্পাদনা : আক্তারুজ্জামান
আপনার মতামত লিখুন :