ইউসুফ বাচ্চু : পবিত্র ঈদুল আযহার আগেই গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারিদের বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন। রোববার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, নবম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদের গেজেট প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় সাংবাদিক সমাজে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অপরদিকে কোনো কোনো মালিক সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার সুযোগে ঢালাওভাবে ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এসব কারণে গণমাধ্যমে নৈরাজ্য বিরাজ করছে।
বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ এক বিবৃতিতে বলেন, ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে সরকারের তথ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, তথ্যসচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করলে তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।
সর্বশেষ ৩ আগস্ট ওয়েজবোর্ড সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদেরের সাথে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ। এসময় ওয়েজবোর্ডের রোয়েদাদের গেজেট প্রকাশ, সাংবাদিক ছাঁটাই বন্ধ করাসহ গণমাধ্যম কর্মী আইন পাশ করার বিষয়ে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিত করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকেই নবম ওয়েজবোর্ডের রোয়েদাদের গেজেট প্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হবে।
বিএফইউজে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ‘‘বর্তমান শ্রমআইনের ২ ধারায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংজ্ঞায় ৬১(ত) উপধারায় বলা হয়েছে, বেসরকারি রেডিও, টিভি চ্যানেল ও কেবলঅপারেটরও শিল্প প্রতিষ্ঠান।
এই আইনের ৫ ধারা অনুযায়ি, কোনো মালিক নিয়োগপত্র প্রদান না করিয়া কোনো শ্রমিককে নিয়োগ করিতে পারিবেন না, এবং নিয়োজিত প্রত্যেক শ্রমিককে ছবিসহ পরিচয়পত্র প্রদান করিতে হইবে।
তবে শ্রম আদালতে মামলা করতে হলে যদি নিয়োগপত্র না থাকে তাহলে পরিচয়পত্র দিয়েই মামলা করা যাবে।”
নেতৃদ্বয় আরও উল্লেখ করেন, “আইনের ১২১ ধারা অনুযায়ি মজুরি দেয়ার দায় মালিকের। ১২২ধারা অনুযায়ি মজুরিকাল নির্ধারিত হবে যা এক মাসের বেশি হবে না। আইনের ১২৩ ধারায় বলা আছে মজুরিকাল শেষ হবার ৭ দিনের মধ্যে তা পরিশোধ করতে হবে।
যে ক্ষেত্রে মালিক বিনা নোটিশে কোনো শ্রমিকের চাকরির অবসান করিতে চাহেন সে ক্ষেত্রে, তিনি উপ-ধারা (১) অথবা (২) এর অধীন, প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরি প্রদান করিয়া ইহা করিতে পারিবেন৷
যে ক্ষেত্রে এই ধারার অধীন কোনো স্থায়ী শ্রমিকের চাকরির অবসান করা হয় সেক্ষেত্রে, মালিক শ্রমিককে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকরির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ত্রিশ দিনের মজুরি, অথবা গ্রাচ্যুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন এবং এই ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে।’’
বিএফইউজে নেতৃদ্বয় বলেন, বিদ্যমান আইনে যে কোনো শ্রম বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন আইন জরুরি নয়। তবে গণমাধ্যম কর্মী আইন পাশ হলে সকল সমস্যার সমাধান হবে। সম্পাদনা : মিঠুন, মুনশি
আপনার মতামত লিখুন :