শিরোনাম
◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত : ০৪ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:১৮ সকাল
আপডেট : ০৪ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বগুড়ায় হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১

জিএম মিজান : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ চেচুয়াপাড়া গ্রামে, হত্যার প্রতিশোধ নিতে জামিনে থাকা আসামির হাত-পা ভাঙ্গার পর বাদী পক্ষের চারটি পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে। তাদের বাড়ি ঘরে হামলার আশঙ্কায় এখন পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। গ্রামটিতে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এর মধ্যে আবার শুক্রবার সন্ধ্যায় গফুরের ভাড়াটে সন্ত্রাসী দ্বারা দুইজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

জানা যায়, বর্ষণ চেচুয়াপাড়া গ্রামের হায়দার আলী খুন হন ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর। ঐ হত্যা মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন শাহীন জামিনে মুক্তি পান। এরপর হায়দার হত্যা মামলার বাদী হায়দার আলীর চাচা আব্দুল গফুর ও তার ভাই-ভাতিজারা গত বুধবার রাতে আনোয়ার হোসেনকে বাড়ি থেকে পাওয়ার টিলার মেরামতের ডেকে নিয়ে গিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেন। সে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন শাহীনের বাবা সামছুল হক বাদী হয়ে গফুর সহ তার পরিবারের ৯ জনের নামে থানায় মামলা করেন। এর একদিন পর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আঃ গফুরের জামাতা সন্ত্রাসী আব্দুস সালাম ও তার বাহিনীসহ মোটরসাইকেল যোগে চেচুয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে হায়দার হত্যা মামলার শাহীন ছাড়াও অন্য আসামিদের খুঁজতে থাকেন। এ সময় ঐ গ্রামের লোকজনের সন্দেহ হলে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা গুলি করেন। এতে জামাল ও পুটু মিয়া নামের দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।

আঃ গফুরের জামাতা সন্ত্রাসী আব্দুস সালাম পিস্তলসহ গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়েন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের মোটরসাইকেলটি। এরপর থেকেই পাল্টে যায় গ্রামের চিত্র। হত্যা মামলার বাদী গফুরসহ তার ভাই ভাতিজাদের চারটি পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে পলাতক রয়েছে। অত্র গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে খড়ের গাদায় আগুন দেয়। এরপর থেকেই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পিস্তলসহ গ্রামবাসীর হাতে আটক সন্ত্রাসী আব্দুস সালামকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায় এবং তার নামে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করে।

নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির এ প্রতিবেদককে বলেন, চেচুয়াপাড়া সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জামাল ও পুটু মিয়া গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আরও একটি মামলা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়