সুজিৎ নন্দী : এবছরের শেষে ডেঙ্গু নিধনের ওষুধ আসতে পারে। তবে আপাতত কলকাতা সিটি করপোরেশন থেকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রক বিশেষজ্ঞরা আসছেন। ইতোমধ্যে সার্বিক যোগাযোগ শেষ হয়েছে। অন্যদিকে মশা নিধনের নতুন ওষুধের নমুনা দেশে আসার কথা রয়েছে। নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে ওষুধ আনা টেন্ডার আহ্বান করা হবে। এই মহুর্তে দুই সিটি করপোরেশনের কোনটিতেই এডিস মশার প্রজনন ধ্বংসের ওষুধ নেই। আপাতত ডেঙ্গু মশার ওষুধ নির্বাচন ও কার্যকারিতা পরীক্ষায় ডিএনসিসির ‘কারিগরি কমিটি’ সুপারিশে বর্তমান মওজুদ থাকা ওষুধই দ্বিগুন পরিমান দেয়া হচ্ছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্রে এতথ্য জানা যায়।
সিডিসির কীটতত্ববিদ ও বিসিপিএ কীটতত্ত¡বিদ জানান, সিটি করপোরেশনে মশার লার্ভা মারার তরল ওষুধ লার্ভিসাইড ছিটানোর সময় সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। আর প‚র্ণবয়স্ক মশার ওষুধ এডাল্টিসাইড ছিটানোর সময় স‚র্যাস্তের ১ ঘণ্টা আগে থেকে সূর্যাস্তের ১ ঘণ্টা পর পর্যন্ত। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানায়, বর্তমানে ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মশা নিধনের ওষুধ দেয়া হয়। তবে বর্তমানে যে ওষুধ দেয়া হচ্ছে কার্যকারিতা শুধু ড্রেন, নর্দামা, ডোবায় মশা মারা জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ওষুধ বাড়ির ভেতরে দেয়া যায় না।
ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কলকাতায় ডেঙ্গু নিয়ে যিনি কাজ করেছেন, তার সঙ্গে আজ একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছে। পাশাপাশি ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি তাকে আমন্ত্রন জানিয়েছি। তিনি খুব শিঘ্রই ভিজিটে আসবেন। তিনি আরো বলেন, আমরা তাদের কাজ দেখবো। প্রয়োজনে কলকাতা থেকে ওষুধ আনবো। তিনি আরো বলেন, আমরা স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী তিনটি পর্বে মশা মারার জন্য কাজ করবো। মশা মারার পাশাপাশি জনসচেতনতার জন্যও কাজ করা হচ্ছে।
ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এখন বাসাবাড়িতে এডিস মশার প্রজনন ধ্বংসে অভিযান চলছে। এ ছাড়া নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পাড়া-মহল্লায় মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এডিশ মশা বাসাবাড়ির ভেতর বদ্ধ পানিতে জন্মায়। তাই বাসার ভেতর গিয়ে মশার ওষুধ ছিটানো সম্ভব হয় না।
ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ আহমেদ বলেন, নগরীর মশকনিধনে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। ক্রাশ প্রোগ্রাম করেছি। সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, একজন মশকনিধনকর্মী ফগার মেশিনের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫ লিটার করে এডাল্টিসাইড ওষুধ দেন। এই ওষুধ মূলত কেরোসিনের সঙ্গে মিশানো হয়। একটি ফগার মেশিন চালু করা হলে ৫ লিটার ওষুধ ১৫ থেকে ২০ মিনিটে শেষ হয়ে যায়। একজন মশকনিধনকর্মীর জন্য নির্ধারিত এলাকা এই সময়ে হেঁটে শেষ করা সম্ভব হয় না। ফলে সপ্তাহের এক দিন বা দুই দিন সব এলাকাতেই যে ওষুধ দেওয়া হয়, তাও নিশ্চিত না।
আপনার মতামত লিখুন :