শিরোনাম
◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০১৯, ১১:১৫ দুপুর
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০১৯, ১১:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বরূপকাঠির নতুন অহঙ্কার কাগজিলেবু

খালিদ আহমেদ : পেয়ারা, সবজি আর আমড়ার জন্য প্রসিদ্ধ স্বরূপকাঠি উপজেলায় কাগজিলেবুর বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে আরও পাঁচ-ছয় বছর আগে। দুই-তিন বছর ধরে চাষিরা বাগান থেকে লেবু তোলা শুরু করেছেন। উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানা ও জলাবাড়ী ইউনিয়নের ১৪ গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, সবুজ বাগানগুলোর গাছে গাছে লেবুর সরেস চাহনি। এটি যেন এ উপজেলার নতুন অহঙ্কার। সমকাল

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা চপলকৃষ্ণ নাথ জানান, উপজেলার শতাধিক হেক্টর জমিতে কাগজিলেবুর দুই শতাধিক বাগান রয়েছে। এসব বাগানের অধিকাংশই আটঘর-কুড়িয়ানা ও জলাবাড়ী ইউনিয়নে। প্রতি হেক্টরে ফলন হয় তিন থেকে চার টন। বাউ জাতের নতুন কাগজিলেবু উদ্ভাবন হলেও দক্ষিণাঞ্চলে এখনও সাধারণ জাতের কাগজিলেবুর চাষ হচ্ছে।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মায়নুল হাসান জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলের আবহাওয়া কাগজিলেবু চাষের জন্য অত্যন্ত অনুকূল। ফলন হয় সারা বছর।

আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের কটুরাকাঠি গ্রামের লেবুচাষি মাখন মণ্ডল জানান, ২০১১-১২ সালে তিনি এক বিঘা জমিতে লেবুর বাগান করেন। তিন-চার বছর পরই ফলন শুরু হয়। দুই বছর ধরে তিনি লেবু বিক্রি করছেন। আগে ওই জমিতে তিনি সবজি চাষ করতেন। এক বিঘা জমিতে সবজি চাষ করে বছরে খরচ বাদে আয় করতেন ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। তবে লেবু চাষ করে পাচ্ছেন বছরে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।

আটঘর-কুড়িয়ানা এবং জলাবাড়ী ইউনিয়নের ১৪ গ্রামের লেবু চাষিরা জানান, সারা বছরই লেবুর ফলন হয়। তার মধ্যে চার-পাঁচ মাস প্রচুর ফলে। তবে জ্যৈষ্ঠ থেকে শ্রাবণ পর্যন্ত লেবুর ভরা মৌসুম।

আদমকাঠি গ্রামের চাষি স্বপন কুমার হালদার জানান, বাগান থেকে চাষিরা লেবু নিয়ে যান জিন্তাকাঠি, আটঘর ও আদমকাঠির মোকামে। সেখানে বড় পাইকাররা এসে লেবু কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান করেন। বড় লেবু ৮০টি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় এবং ছোট লেবু ৮০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করেন।

রাজাপুর গ্রামের চাষি অমল হালদার জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগ লেবু চাষে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ অথবা পরামর্শ দেয় না। এর রোগবালাই সম্পর্কে চাষিরা তেমন জানেন না।

চাষিরা জানান, সরাসরি বাগান থেকে পাইকাররা লেবু পরিবহন করতে না পারায় তাদের পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায়। এজন্য প্রতি পন লেবুতে তারা ৩০ থেকে ৫০ টাকা কম পান।

চাষিদের প্রশিক্ষণ না পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা চপলকৃষ্ণ নাথ বলেন, লেবুচাষিদের সরকারি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কোনো কার্যক্রম নেই। তবে লেবু জাতীয় ফসলের 'সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প' নামে একটি নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়