শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাষ্ট্রের ওপর কতোখানি অনাস্থা তৈরি হলে প্রতিটি নাগরিক একেকজন সম্ভাব্য ‘খুনি’ হয়ে ওঠে?

বীথি সপ্তর্ষি : ২২ জুলাই নিউজ কাভার করতে গিয়ে মবকে একটা সম্ভাব্য গণপিটুনি থেকে নিবৃত্ত করেছি। শুধু ছেলেধরাকেই নয়। লোকে এখন সমাজের সকল পর্যায়ের অপরাধীকে গণপিটুনি দিতে চাইছে। গণবিকারের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এটাই অনিবার্য ছিল। যে সমাজে শিক্ষিত ও বিচক্ষণ শ্রেণির মাধ্যমে ক্রসফায়ার, লিঙ্গকর্তন, প্রকাশ্যে ফাঁসির মতো সহিংস শাস্তির পক্ষে জনমত তৈরি ও স্বাভাবিকীকরণ ঘটে, সে সমাজের অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত ও নি¤œবিত্ত, সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির কাছে মোবাইল চুরি, ব্যাগ ছিনতাই, পকেট কাটাসহ যাবতীয় অপরাধের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ও তাৎক্ষণিক শাস্তি গণপিটুনিই হবে। এখানে প্রগতি টগতি ফলিয়ে লাভ নেই। ভিডিওর এই লোক মোবাইল চোর। রিকশাযাত্রীর মোবাইল ধরে টান মেরেছিলো। উপস্থিত জনতা তাকে ধরে পেটানোর জনসম্মতি তৈরি ও পেটানোর প্রস্তুতিকালে সেখানে পৌঁছাই। বাংলা সিনেমার ‘আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না’ বলেও কোনো কাজ হচ্ছিল না। ‘পুলিশ আসলে টাকা খেয়ে ছেড়ে দেবে, যা করার আমরাই করবো’ বললে আমি নিরুপায় হয়ে ভিডিওটা করি। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত টেলিভিশনের ক্যামেরা ও বুম দেখে লোকটার চুল কেটে, তাকে তওবা-ইস্তেগফার করিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে ফেরার সময় খুব নিরুপায় বোধ করছিলাম আর ভাবছিলাম সহনাগরিকের প্রতি কতোখানি অবিশ্বাস জমলে খুনোখুনি করে বেঁচে থাকতে হয়? কতোখানি অসহায় হলে নিজের প্রতি ঘটা অন্যায়ের বিচার নিজের কাঁধে তুলে নেয়? রাষ্ট্রের উপর কতোখানি অনাস্থা তৈরি হলে প্রতিটি নাগরিক একেকজন সম্ভাব্য ‘খুনি’ হয়ে উঠে? অফিসে এসেই শুনলাম, নারায়ণগঞ্জ আর সাভারে গণপিটুনির শিকার পাঁচজন। ফেসবুক থেকে

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়