রবিন আহসান : ২১ জুলাই রাতে ফেসবুকে একটা ছবিটা দিয়ে লিখে ছিলাম, একে ধরে পুলিশে দেন। ২২ জুলাই রাত বারোটা পর্যন্ত এটি তিন হাজার শেয়ার হয়েছে। আমি মনে করি এবং বিশ্বাস করি যে, এখানে থেকেই একটা পাল্টা ¯্রােত তৈরি করতে হবে আমাদের। মাত্র কিশোর বয়সী ছেলেটা যেভাবে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করলো মায়ের বয়সী একজন নারীকে তার অপরাধের বিচার জুরুরি। ওই রাতে বাসায় গিয়ে আমার দুই ছোট ভাইকে মোবাইলে এই ছবি দেখাই এবং সাবধান করে দিই রাস্তায় কোথাও তারা মানুষের উপর চড়াও না হয়... হলে কিন্তু খুঁজে খুঁজে পুলিশ ধরবে এবং বিচারে তাদের ফাঁসিও হতে পারে। আপনি কি আপনার পরিবারের কিশোর ছেলেটিকে এভাবে বুঝিয়েছেন পাশের বাসার কিশোরটাকে যে এভাবে মানুষ মারতে নেই। এই কিশোরের ছবিটা আমি ইচ্ছে করেই দিয়েছি যে এই বয়সী কিশোররা আমাদের আশপাশে হাজার হাজার আছে আর তারাও শিক্ষা সংস্কৃতি থেকে অনেক দূরে মানুষের জীবনের কোনো দাম নেই এদের কাছে। এই কিশোরের প্রকাশ্যে আদালতে বিচার হওয়া দরকার এবং একে গণমাধ্যমে প্রচারে এনে বাকিদের বুঝিয়ে দিতে হবে কোনো হত্যাকারী অপরাধীর জায়গা বাংলাদেশ নয়। যদি আমরা তা না পারি তবে আজ রেনু আপনার বোন, কাল আমার বোন বীথিরা এভাবে নিহত হবে। হৃদয় নামের এই পাথর কিশোরের বিচার আমি দেখতে চাই মহামান্য বাংলাদেশ... ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :