মোহাম্মদ মাসুদ : দেশের দক্ষিণ ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানীর বাস যোগাযোগের প্রধান কেন্দ্র গাবতলী। প্রত্যেকটি বাস টার্মিনালে ঢুকতে কিংবা বের হওয়ার পথে গুনতে বাধ্য হয় নানা রকমের চাঁদা। মাছরাঙ্গা টিভি
তবে শুধু বাস নয় চাঁদা গুনতে হচ্ছে যাত্রীদেরও। আমিন বাজার সেতু থেকে শুরু করে মাজার রোড পর্যন্ত রাস্তার যে কোনো যায়গায় বাস এসে থামলেই হাজির হয় কয়েকজন যুবক। বাসের লকার থেকে ব্যাগ কিংবা বস্তা নামালেই টাকা দাবি করছে তারা। ব্যাগ প্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
যারা প্রতিদিন এই চাঁদা তুলছে তারা কয়েকভাবেই বিভক্ত এমন ১০ জনকে সনাক্ত করা হয়। জানতে চাওয়া হলে সুর্নিদিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেনি তারা।
গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় বাসের আসা-যাওয়ার জন্য নানান ঘাট ইজারা দেয়া হয়েছে। ঢাকা জেলার বাস সমিতির হয়ে ইজারার টাকা আদায়ের দায়িত্ব ঢাকা জিলা বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আকতার হোসেনের। যাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ইজারার অংশ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা বহিরাগত আমাদের লোক নয়। পুলিশ এটা অনেকটাই নিয়ন্ত্রন করেছে। তবে কিছু রয়ে গেছে।
গাবতলীতে ট্রাফিক পুলিশের অন্তত ৭০ জন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কমপক্ষে ৩০ জনের স্থায়ী ফাঁড়ি বসানো হয়েছে। কিন্তু আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই অবাধ বিচরণ এসব চাঁদাবাজের। পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠতা অনেকটা প্রকাশ্য।
এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তবে দ্রুত চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি ।
গাবতলীতে প্রতিদিন দেড় হাজার বাস চালাচল করে। প্রত্যেকটি ১০ জন যাত্রী ধরে হিসেব করলেও দৈনিক প্রায় ৩ লাখ টাকা চাঁদা আদায় হচ্ছে। বছরে যা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১১ কোটিতে।
আপনার মতামত লিখুন :