লিহান লিমা: নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পরিষ্কার বলে দিয়েছিলেন, গান্ধী পরিবারের কেউ নয়, কংগ্রেসে নতুন মুখ চান তিনি। যদিও দলের একাংশ মনে করছেন, গান্ধী পরিবারের কেউ হাল না ধরলে কংগ্রেসে ভাঙন অবশ্যম্ভাবী। এই সময় তারা উত্তরপ্রদেশ-পূর্বের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধীকে সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার সুপারিশ করেন। এনডিটিভি, নিউজ১৮
সোমবার জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস নেতা নটবর সিং বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের ৫৫দিন পরও এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারে নি কংগ্রেস। গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ সভাপতি হলে ২৪ মধ্যেই দু’টুকরো হয়ে যাবে দল’। এই সময় তিনি প্রিয়াংকা গান্ধীকে সভাপতির পদে বসানোর সুপারিশ করেন। সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দলকে সামাল দেয়ার মতো সব ধরনের যোগ্যতাই প্রিয়াংকার রয়েছে।
কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে গুলিতে নিহত দশ আদিবাসীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গিয়ে প্রিয়াংকার বিক্ষোভের উদাহরণ টেনে নটবর বলেন, ‘উত্তর প্রদেশে যে ভাবে প্রিয়াংকা তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করলেন, এতেই প্রমাণ তিনি যা চান, তা করেই ছাড়েন।’ ওই সফরে যোগী আদিত্যনাথ ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে প্রিয়াংকাকে বাধা দিলে রাতভর গেস্ট হাউসে আটক থাকার পর নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। নটবর সিং আরো বলেন, ‘১৩৪ বছরের পুরনো কংগ্রেসের কোন সভাপতি নেই এই দুভার্গ্যজনক। গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে নির্বাচন করাও উচিত হবে না।’ তবে প্রিয়াংকাকে সভানেত্রী নির্বাচন করা হবে কি না এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, সবকিছুই নির্ভর করছে রাহুল গান্ধী ও গান্ধী পরিবারের সদস্যদের ওপর। একমাত্র তাঁরাই সিদ্ধান্ত পুর্নঃবিবেচনা করে এটি করতে পারেন।
কয়েক দিন আগে, সাবেক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর পুত্র অনিল শাস্ত্রীও গান্ধী পরিবার থেকেই সভাপতি হওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ সভাপতি হলে অনেকে তাকে পছন্দ করবেন না। ফলে দল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগে লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের দায়ভার মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেন রাহুল গান্ধী। এই নির্বাচনে মাত্র ৫২টি আসন পায় কংগ্রেস। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :