আরিফা রাখি : রাস্তায় বের হতে ভয় লাগে কখন কাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অথচ আইনমন্ত্রী এসব ঘটনাকে বিরোধী দলের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছে। সাম্প্রতিক খুন-ধর্ষণের ঘটনা বিএনপি-জামায়াতের নিখুঁত ষড়যন্ত্র ও প্রিয়া সাহার বক্তব্য দেশদ্রোহী নয় আইন মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
মঙ্গলবার ২৩ জুলাই, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ’অপরাজয় বাংলাদেশ’ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বন্যাদূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেয়ার দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশে কোন সরকার আছে বলে দেশবাসী মনে করছে না। তিন বছরের শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ধর্ষণ করা হয়েছে। দেশে গণপিটুনির নামে মানুষ হত্যার উৎসব শুরু হয়েছে। গত ১৫ দিনে শেয়ার মার্কেট থেকে ৩৭ হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। অযোগ্য প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, নাকি অযোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কাকে অযোগ্য বলবো?
তিনি বলেন, সরকার যখন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে তাহলে জনগণের টাকায় বেতন তারা নিবে কেন? প্রধানমন্ত্রী যদি বন্যাদূর্গতদের রেখে লন্ডনে যান আর দেশের মধ্যে ধর্ষণের মহোৎসব চলে এবং গণপিটুনিতে মানুষ হত্যা করা হয় তাহলে সরকারেরই বা কি দরকার আছে? এই সরকার তো এমনিতেই অবৈধ সরকার। ভোটারবিহীন সরকার, এ সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার, এই সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বিলুপ্ত করেছে, মাটি দিয়েছে, কবরস্থান করেছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়াকে যদি মুক্ত করতে হয় আন্দোলন ও প্রতিবাদ ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ নাই। বিচারহীনতা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একচোখা নীতির কারণে বেগম খালেদা জিয়া আইনি পদ্ধতিতে মুক্তি হবে এটা সিনিয়র আইনজীবীরাও মনে করে না।
মানববন্ধনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদা মনি শহীদুল্লাহ, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :