শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৩ জুলাই, ২০১৯, ০৪:২৫ সকাল
আপডেট : ২৩ জুলাই, ২০১৯, ০৪:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহামারি রুপ নিচ্ছে ডেঙ্গু

আরিফা রাখি : ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ভয়াবহভাবে বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। রাজধানীর সরকারি-বেরসকারি হাসপাতালগুলোর কেবিন, ওয়ার্ড, বারান্দা সব জায়গায়ই চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। এডিস মশা বাসা-বাড়ির পরিষ্কার পানিতে হয় বলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতার প্রতি জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪০৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছেন সাত হাজার ১৭৯ জন।

সোমবার মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩৮ জন, হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৪৫ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩৩ জন, বিজিবি হাসপাতালে ৫ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১২ জন, বারডেম হাসপাতালে ৯ জন এবং বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে ১২৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো। জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন মিয়া সেপ্পো। ডাক্তারি পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত। তবে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন তিনি।

তেজগাঁও বালিকা বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী পূর্বাশা রোববার রাতে জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার দুপুর দুইটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার মা বারডেম হাসপাতালের নার্স।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডিরেক্টর পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, ২০০০ সালে মোট পাঁচ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৭৯ শতাংশ স্বাভাবিক ডেঙ্গু জ্বর ও ২১ শতাংশ ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর এবং মৃত্যুর হার ছিলো এক দশমিক সাত শতাংশ । গত বছর ডেঙ্গু রোগী ছিলেন ১০ হাজার ১৪৮ জন, মারা যান ২৬ জন।

চিকিৎসকরা বলছেন, এখন ডেঙ্গু হলে সামান্য জ্বরেই রোগীর হার্ট, কিডনি ও ব্রেইন আক্রান্ত হচ্ছে। যে কারণে রোগীর মৃত্যুঝুঁকিও বাড়ছে অন্যান্য বছরের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এ কারণে ডেঙ্গু রোগ নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

গ্রিন রোডের গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার সাবিলা মরিয়াম বলেন, ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে (রক্তক্ষরণসহ জ্বর) আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মিনস্ট্রুয়াল ব্লিডিং অনেক বেশি হচ্ছে। এসব রোগী শকে চলে যান দ্রুত, তাদের মৃত্যুঝুঁকিও বেশি। এর ফলে রোগীরা আতঙ্কিত হবেন, এটাই স্বাভাবিক।

হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু রোগ এখন তাদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। এতো রোগী যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন, সেটা তাদের ধারণায়ও ছিল না।

সম্পাদনা: অশোকেশ রায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়