আমিন মুনশি : বাংলাদেশে হঠাৎ করেই গণপিটুনির ঘটনা বেড়েছে। গত চারদিনে বিভিন্ন স্থানে অন্তত সাতজনকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সম্প্রতি গণপিটুনির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সদর দপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে’ বলে গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মর্মান্তিকভাবে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। গুজব ছড়িয়ে ও গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনা ফৌজদারি অপরাধ। দ্রুতই জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছেলেধরা সন্দেহ হলে গণপিটুনি না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
নাগরিক হিসেবে চলমান পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটার আগ পর্যন্ত কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারি আমরা। যেমন :
১. কিছুদিন অপরিচিত এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২. অপরিচিত এলাকায় গেলে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে এদিক সেদিক উদভ্রান্তের মতো তাকানো থেকে বিরত থাকুন।
৩. কাউকে খুঁজতে গেলে তার সাথে আগেই যোগাযোগ করে নিন, সারপ্রাইজ দিতে কিংবা কোনো কারণেই না জানিয়ে যাবেন না।
৪. নিজের বাচ্চাকে তার মাকে ছাড়া কোথাও নিয়ে যাবেন না। বিশেষ করে যেসব বাচ্চারা ছিচকাদুনে এবং খালি বায়না ধরে তাদের নিয়ে কয়েকটা দিনের জন্য দূরত্বে বের হবেন না।
৫. যদি চাকরীজীবী হোন, তবে প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড সাথে রাখুন, প্রয়োজনে অপরিচিত এলাকায় গেলে গলায় ঝুলিয়ে রাখুন।
৬. কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে থতমত খাবেন না; সহজভাবে উত্তর দিন। ভাব নিতে যাবেন না।
৭. পথে-ঘাটে কারো সাথে উটকো ঝামেলায় জড়াবেন না।
৮. এ ধরণের ঘটনা দেখলে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে পুলিশকে জানান।
৯. যদি আপনি কোনো এলাকায় নতুন হোন (আপনাকে যদি কেউ না চিনে থাকে) তাহলে কর্মক্ষেত্র থেকে সরাসরি বাসায় চলে আসুন।
১০. সর্বোপরি, এ অবস্থার দ্রুতই অবসান হবে আশা করি। তাই আতঙ্কিত হবেন না।
আপনার মতামত লিখুন :