শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২৩ জুলাই, ২০১৯, ০৩:৩০ রাত
আপডেট : ২৩ জুলাই, ২০১৯, ০৩:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গণপিটুনি বন্ধে সব ইউনিটকে সতর্ক থাকার নির্দেশ পুলিশ সদর দপ্তরের

মুসবা তিন্নি : দেশের বিভিন্নস্থানে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে একাধিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ধরনের হত্যা বন্ধে পুলিশের সব ইউনিটকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক টহল, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো, জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচারণা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মনিটরিং ও মিডিয়ায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলা ট্রিবিউন

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (অপারেশনস) সাঈদ তারিকুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিটি রোববার (২১ জুলাই) পুলিশের সব ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, গণপিটুনি দিয়ে হত্যা এবং গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা ফৌজদারি অপরাধ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে—সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। শিক্ষক, গভর্নিং বডির সদস্য এবং কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ছুটির পর ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তাদের অভিভাবকদের মাধ্যমে স্কুল ত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ও আশপাশের এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন এবং সচল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ। জনসচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি এলাকায় ছেলেধরা সংক্রান্ত গুজবে কান না দিতে এবং পুলিশকে তাৎক্ষণিক জানানোর জন্য মাইকিং করা, লিফলেট বিতরণ ও পোস্টারিং করা। এলাকার জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, সুধীসমাজ, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের প্রতিনিধি এবং জনসাধারণকে নিয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ছেলেধরা সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার বিষয়ে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করা।

পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা : প্রতিটি মসজিদের ইমামের মাধ্যমে ছেলেধরা সংক্রান্ত বিভ্রান্তি সৃষ্টি রোধ করতে বক্তব্য দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মেট্রোপলিটন ও জেলা শহরে অবস্থিত বস্তি এলাকায় বিশেষ নজরদারি রাখা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মনিটরিং সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে (ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ব্লগ এবং মোবাইল ফোন) ছেলেধরা সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য বা গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ও পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, গুজবে কান না দিয়ে এবং ছেলেধরা বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে, জনসাধারণের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া, স্থানীয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলোতে সার্বক্ষণিক তা প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ডিএমপি কমিশনার, এআইজি মিডিয়া এবং সব পুলিশ সুপার জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এর আগে ২০ জুলাই সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা রাষ্ট্রবিরোধী কাজের শামিল এবং গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু ঘটানো ফৌজদারি অপরাধ। সম্পাদনা : রেজাউল/ রাশিদুল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়