খালিদ আহমেদ : বাংলাদেশের দলিত সম্প্রদায় নিয়ে করা এনজিও ‘শারি’ এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি। ভিডিওতে দেখা যায়, মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে প্রিয়া এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলছেন, তার বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। তবে সেই সাংবাদিকের পরিচয় জানা যায়নি।
বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদীদের নিপীড়নের শিকার হয়ে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন বলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেছেন প্রিয়া সাহা। বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা গত ১৭ জুলাই হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন। তার এই অভিযোগের পর সারা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেক বলছেন, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ড পাওয়ার আশায় এমন অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এই সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে প্রিয়া সাহা দাবি করেছেন, এমন অভিযোগে সত্য নয়। কোনো কিছু পাওয়ার আশায় ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেননি তিনি।
নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় ট্রাম্পের কাছে নালিশ করেছেন কি না, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন প্রিয়া সাহা। তিনি বলেন, ‘গ্রিনকার্ড পাওয়ার জন্য কি রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজন হয়? আমি আপনাকে বলেছি, আমি বহুবার আমেরিকায় এসেছি। আমি কেন দেশ ছাড়বো? আপনি আমার বক্তব্যে দেখেছেন আমি বলেছি, আমি দেশে থাকতে চাই। ওটাই আমার প্রথম কথা, ওটাই আমার শেষ কথা।’
আপনি কি তাহলে দেশে ফিরবেন? এই প্রশ্নের জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘অবশ্যই, কেন ফিরবো না?’
৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু বাংলাদেশ থেকে ‘উধাও’ হয়ে গেছে এমনটা বোঝাতে চাননি দাবি করে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি। শব্দের প্রতিটা বিষয় যে আমরা অবগত তা নয়। আমি যেটা বোঝাতে চেয়েছি সেটি হলো-এই পরিমাণে লোক থাকার কথা ছিল। যদি স্বাভাবিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া, যেভাবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে সেই একইভাবে যদি ধর্মীয় সংখ্যালঘু ২৯.৭ শতাংশ থাকতো তাহলে এই জনসংখ্যা হতো। কিন্তু তা নাই। এই যে ক্রমাগতভাবে কমে গেছে, এটা যে নাই কেন সেটাই আমি বোঝাতে চেয়েছি।’
কেএ/এসবি
https://www.facebook.com/amadershomay/videos/449554045629976/
আপনার মতামত লিখুন :