রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী : প্রিয়া সাহা বাজার গরম করে ফেলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই আমরা তার উপর ক্ষুব্ধ। কিন্তু ভাবী না ইউএসএ প্রেসিডেন্ট দপ্তরে একজন বিদেশি অবাধে ঢুকে গেলো এবং ট্রাম্পের সামনে ৩৭ মিলিয়ন গুম হওয়ার গল্প বলে চলে আসলো কেউ কিছু বললো না? জাঁদরেল সাংবাদিক মহোদয়রাও বললেন, তিনি যা করেছেন ওই দেশে থেকে যওয়ার জন্য করেছেন। হায়রে কপাল! কারে কি বলবো। তলিয়ে দেখলেন না হোয়াইট হাউজে প্রবেশ এতোই ডালভাত?
২০ জুলাই একুশের রাতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা রানা দাশগুপ্তকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, প্রিয়া সাহাকে তারা পাঠাননি, তবে ভিক্টিম হিসেবে সেখানে যেতে পারেন। তার অর্থ কি এই দাঁড়ায় না যে তাদের তিন প্রতিনিধির পক্ষ থেকেই প্রিয়াকে পাঠানো হয়। ৩৭ মিলিয়ন গুমের বিষয় তিনি একটা ব্যাখা দিয়েছেন। তারা ব্যাখা মতে, একাত্তর সালে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ছিলো ২৯ শতাংশ, ২০১১ সালে দাঁড়ায় ৯ শতাংশে। তার অর্থ ২০ শতাংশ নেই। ১৭/১৮ কোটির ২০ শতাংশ ৩৭ মিলিয়নের কাছাকাছি। রানা দাশের ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ বলেছেন, ওই ২০ শতাংশ মিসিং। আর প্রিয়া বলেছেন, গুম। হিসাব ঠিক শব্দ এদিক ওদিক। রানা দাশগুপ্ত মহোদয়ের কথায় পরিষ্কার প্রিয়ার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ ৩৭ মিলিয়নের গুম, ১৮০ মিলিয়নের ঝুঁকিতে বসবাস সবই ঐক্য পরিষদের বক্তব্য প্রিয়া তাদের মুখপত্র মাত্র। প্রিয়া তাদের কেউ না হলে বিবৃতি দিয়ে বলুক ও ব্যাখা দিক, এই ভদ্রমহিলা কার প্রতিনিধি হিসেবে হোয়াইট হাউজে গেলো। সহজ ঘটনা নয়। গভীরে যাওয়া প্রয়োজন। হেলাফেলা নয়। এরাই মোদীর কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নালিশ করেছিলো। সিনহা এখনো জীবিত। শেখ হাসিনাকে তিনি সহজে ছাড়বেন? আসুন সব রকম মৌলবাদকে ঘৃণা করি। শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকি। দেশকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :