শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০১৯, ০৩:৩৪ রাত
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০১৯, ০৩:৩৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৭ দিনে মশা নিরোধক পণ্যের বিক্রি বেড়েছে ১০ গুণ

আসিফ হাসান কাজল : রাজধানীর সুপারশপগুলোতে গত এক সপ্তাহে মশা নিরোধক পণ্যের বিক্রি বেড়েছে ১০ গুণ। শপ সংশ্লিষ্টরা বলছেন এ্যরোসল ও জেলের মত ইন্সট্যান্ট মশা মারা পণ্যের বিক্রি বেড়েছে। আর ক্রেতারা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতেই মশা নিরোধক পণ্য কিনছেন তারা। রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, পান্থপথ এলাকায় একাধিক সুপারশপ ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

ধানমন্ডি ৮/এ সড়কে ইউনিমার্ট সুপারশপে লিকুইড ভ্যাপোরাইজার কিনছেন রেজাউল রহমান। একসঙ্গে একটি কোম্পানির ৮টি রিফিল প্যাক কিনেন। আটটি রিফিল প্যাক ক্রয়ের কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার বাসায় চারটি ঘরে ব্যবহার করার জন্য ও বাকি চারটি রিফিল পরবর্তীতে ব্যবহার করার জন্য রাখা হবে। একই শপে দুই বছর বয়সী ছেলে তন্ময়কে সঙ্গে করে আয়নমেন্ট জেল খুঁজছেন শাহিনা আক্তার। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের একটি জেল রয়েছে যেটা জামায় ৪ ফোঁটা লাগানো হলে মশা কাছে ভিড়ে না। কিন্তু জেলটি না পাওয়ায় ফিরে যেতে হচ্ছে।
বি.এস.এম.এম.ইউ চিকিৎসক ডা. আহসান হাবিব মশা নিরোধক এই ধরণের পণ্য ব্যবহারে সতর্ক করে বলেন, এ্যরোসাল স্প্রে শুধু মশা তাড়ানোর জন্যই ব্যবহৃত হলেও এটি একটি বিষ। ঘরে এ্যরোসাল ব্যবহারের সময় অন্তত ১০ মিনিট শিশুদের বাইরে রাখার পরামর্শ দেনে তিনি।

এদিকে স্বপ্ন, মীনা বাজার, অ্যাগোরা সুপারশপে দেখা যায়, দেশি ও বিদেশি ব্রান্ডের মশার কয়েল, শরীরে লাগানোর জন্য জেল, এ্যরোসল, ইলেকট্রিক ব্যাট ও ভ্যাপোরাইজারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ইউনিমার্ট শপের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে দিনে ১টি মশা নিধন পণ্য বিক্রি হলে এখন বিক্রি হচ্ছে ১০টি। চাহিদার অবস্থা বিবেচনায় প্রতিটি ক্যাশ কাউন্টার এর সামনেও এমন পণ্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

মীনা বাজার শপের ইনচার্জ এনায়েত কবীর জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আজ ৮০টি পণ্য বিক্রি হয়েছে অথচ গত ১০ দিন আগে এক সপ্তাহেও ৮০টি মশা মারার আইটেম বিক্রি হয়নি।

এসিআই কনজিউমার ব্রান্ডের বাজার ব্যবস্থাপক মো. জিসান রহমান বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে সেল করি। পরে প্রডাক্টগুলো বিভিন্ন আউটলেটে যায়। যে কারণে কী পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে তা বলা কঠিন। তবে ডেঙ্গু জ্বরের কারণে মশা নিরোধক পণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

সম্পাদনা : ইসমাঈল হুসাইন ইমু/ মিঠুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়