মো: বেলাল হোসেন:২০১৬ সালের পর এবার সবচেয়ে আতংকের সময় পার করছে কাশ্মীরীরা। বেসরকারি জরীপ মতে, ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে কাশ্মীরে নানা সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছে তিন শতাধিক মানুষ। আর এই ছয় মাসে জম্মু কাশ্মীরে ১৭৭টি তল্লাশি আর সশস্ত্র অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশেও বেড়েছে জঙ্গি হামলা আর পুলিশের অভিযান। ইনডিপিন্ডেট
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পুলিশ হেফাজতে শিক্ষকের মৃত্যু আর পাকিস্তান অংশে সন্ত্রাসীদের জিম্মায় এক শিশুর মৃত্যু। হিমালয়ের পাদদেশে মুসলিম অধ্যুষিত এ অঞ্চলে পরপর এই দুটি হত্যাকান্ড সেখানকার পরিস্থিতির স্পষ্ট ধারণা দেয়।
ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলার পর ১৭ মার্চ প্রধান শিক্ষক রিজওয়ান পন্ডিতকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। অবন্তিপুরা পুলিশ স্টেশনে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার মৃত্যু হয়। ৮ জুলাই প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, পুলিশের নির্যাতনেই রিজওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনার কয়েক দিন পরেই পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ১২ বছর বয়সী আতিফ মিরকে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। পরে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে মৃতু হয় শিশু আতিফের।
সীমান্তের দুপাশেই বেড়ে চলছে মৃত্যুর সংখ্যা। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা অজানা রইলেও, ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলার পর থেকে কাশ্মীরে প্রায় ২৭১ জনের মৃত্যু হয়। গত এক যুগে এখানে এত প্রাণহানির নজীর নেই।
সম্পাদনা: এইচ এম জামাল
আপনার মতামত লিখুন :