হ্যাপি আক্তার : বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর ও টাঙ্গাইলে ১ হাজার ৬৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকগুলোতে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। ডিবিসি নিউজ, ৯:০০।
বন্যায় কিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্ভে। বন্যার পানি নেমে গেলে অতিরিক্ত ক্লাস করে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় বন্ধ হয়ে গেছে ৩২৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে ২২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০১টি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে। ৬৮টি বিদ্যালয়ে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়া নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার দাবি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলার ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে ডুবে গেছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দির উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল আলম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বিশেষ ক্লাসের মাধ্যমে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
যমুনাসহ শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ১১২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান। এরইমধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮১০টি, হাই স্কুল ১৭৬টি, মাদ্রাসা ৮৯টি এবং কলেজ ৪৫টি বন্ধ রয়েছে।
টাঙ্গাইলের সাতটি উপজেলার চরাঞ্চাল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ ও ক্লাসরুম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে বন্যার পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ভাঙনের মুখে রয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ভবন।
স্কুল বন্ধ থাকায় জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় প্রভাব পড়বে বলেও মনে করছেন শিক্ষকরা। সম্পাদনা : রাশিদুল/মারুফুল
আপনার মতামত লিখুন :