শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০১৯, ০৪:০৩ সকাল
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০১৯, ০৪:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুরান ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারে নানা জটিলতার অভিযোগ এলাকাবাসীর, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন গণপূর্তমন্ত্রী

হ্যাপি আক্তার : রাজধানীর পুরান ঢাকায় শতবর্ষী ভবনের সংখ্যা ৫ শতাধিক। কোনো সংস্কার ছাড়াই দিনের পর দিন মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে এগুলোতে মানুষের বসবাস। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন, ৮:০০।

পুরান ঢাকার এসব ভবন ধসে প্রায়ই ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা। এলাকাবাসী ভবন সংস্কারে নানা জটিলতার কথা বললেও, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী জানালেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা। তার মতে, ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরও এসব ভবনে বসবাস গ্রহণযোগ্য নয়।

রাজধানীর পাটুয়াটুলীতে একটি ভবন ধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয় গত ১৭ জুলাই। ভবনটি ছিলো কমপক্ষে ১০০ বছরের পুরোনো।

পাটুয়াটুলীতে ধসে পড়া ভবনটির মতো পুরান ঢাকায় ছোট-বড় এমন ৫৭৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সন্ধান মিলেছে। যেগুলো ৪ বছর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে। যার মধ্যে হাজারীবাগ, লালবাগ ও শাখারীবাজারের ১৪৫টি ভবনকে এখনই ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়।

পাটুয়াটুলী ও শাখারীবাজার এলাকায় দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ নোটিশ আর মানুষের বসবাস একই ছাদের নিচে। যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকলেও এসব ভবনে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে অবস্থান করছেন মূলত নিম্ন আয়ের মানুষ।

ভারাটিয়ারা বলছেন, আয় অল্প বলে বেশি ভাড়ায় থাকা সম্ভব নয়, তাই ঝুঁকি নিয়েই থাকতে হয়।

পুরান ঢাকার বাসিন্দারা শতবর্ষী এসব ভবন ভেঙে নতুন করে গড়ার পক্ষে থাকলেও তাদের অভিযোগের তীর জেলা প্রশাসনের দিকে। তাদের দাবি, লিজ নেয়া এসব ভবন সংস্কারে জেলা প্রশাসন খুব কমই অনুমতি দিচ্ছে।

বাসিন্দারা বলেন, জেলা প্রশাসন অনুমতি দিলেই এই ভবনগুলো পুনঃনির্মাণ হয়ে যায়। পুনঃনির্মাণ হলেই এই ধরনের দুর্ঘটনা আর ঘটবে না।

ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরও যারা ওই ভবনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসস্থল গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন বা সরকারের কাছ থেকে যারা ইজারা নিয়েছে সে ভবনগুলো বসবাসের জন্য অনুপযোগী কি না, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে তদারকি করতে হবে। কোনো ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হলে, কোনোভাবেই সেই ভবন লিজ দেয়া বা কাউকে ব্যবহার করতে দেয়া উচিত নয়।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্য হিসেবে চিহ্নিত ভবনগুলো নতুন করে সংস্কারের কথাও জানান, তিনি। সম্পদনা : রাশিদুল/কাজী নুসরাত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়