সুলতান মির্জা : প্রিয়া সাহা প্রথম কোনো ব্যক্তিনন যিনি দেশের বিরুদ্ধে দেশের বাইরে গিয়ে নালিশ করে সাহায্য চেয়েছে, তবে প্রিয়া সাহা অনেকের মধ্যে একজন যারা ইতিপুর্বেই বিদেশিদের কাছে দেশ কে বসবাসের অনুপযুক্ত দেখিয়ে সুবিদা ভোগ করছে কিংবা ভোগের রাস্তায় আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রিয়া সাহার দেশের বিরুদ্ধের বক্তব্য কেন এতো নাড়া দিলো আমাদের ? উত্তর হচ্ছে, প্রিয়া সাহা তার পুর্বসুরীদের চেয়ে বেশি ভাগ্যবান, কারণ প্রিয়া সাহা প্রথম কোনো ব্যক্তি যিনি একদম সোজা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে দেশের বিরুদ্ধে বলে সাহায্য চেয়েছেন।
সেজন্য আমাদের চোখে লেগেছে বিষয়টা, আর তাই আমরা হিন্দুদের জাতপাত তুলে কথা বলতে শুরু করেছি। যদিও প্রিয়া সাহার একপ্রকার দুর্ভাগ্য বলা চলে, কারণ প্রিয়া সাহা শিয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দিতে গিয়েছে। অর্থ্যাত ট্রাম্প নিজেই হলেন একজন সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি যিনি নিজেই সংখ্যালঘু বিরোধী হিসেবে ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে নিজেকে বেশ পরিচিত করে তুলেছেন, অপরদিকে সেই ট্রাম্পের কাছেই প্রিয়া সাহা গেছেন সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতনের বিচার নিয়ে। সিরিয়াসলি বলছি, ভিডিওটা দেখে অনেকক্ষণ হাসলাম, প্রশ্ন আসতে পারে, অনেকের মতো আতংকিত না হয়ে কেন হাসলাম ? উত্তর হচ্ছে, এই মুহূর্তে বৈশ্বিক রাজনীতিতে জনাব ট্রাম সাহেব এমন একজন অহেতুক ব্যক্তি, যে যার কলমের দাপট আছে প্রচুর কিন্তু ক্ষমতার দাপটে সম্পূর্ণ অকর্মা। প্রশ্ন হচ্ছে কি কারণে বললাম এই কথা, প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে যেই ভরসায় উক্ত অভিযোগ করেছেন, এতে করে প্রাথমিক ভাবে হয়তো সুরেন্দ্র সাহার মতো খুব দ্রুত প্রিয়া সাহার এসাইলাম পাক্কা হবে মার্কিন মুল্লুকে, কিন্তু এর বাংলাদেশ রিএক্ট হবে না, কারণ যাদের সাহায্যে বাংলাদেশে রিএক্ট দেখাবে বা দেখাতে পারে, সেই তাদের অর্থাৎ আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারতের সাথে ট্রাম্পের সম্পর্ক একেবারেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তাছাড়া ভারত যে বাংলাদেশ বিষয়ে কথা বলবে সেই রাস্তাও খোলা নেই, কারণ তারা নিজেরাই তো সংখ্যালঘু নির্যাতনে জয় শ্রীরাম কে ব্র্যান্ড বানিয়ে কাজ করছে। এতএব প্রিয়া সাহার জন্য এই পর্যায়ে এক মুঠো বেদনা ছাড়া আর কিছুই রাখতে পারলাম না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :