মো: বেলাল হোসেন: বন্যার কারণে কোরবানির পশু নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন উত্তরাঞ্চলের খামারিরা। খেত খামার, খড়ের গাদা তলিয়ে যাওয়ায় পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না এসব পশু। মোটাতাজা না থাকলে ঈদে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে রয়েছে সংশয়। কিছু জায়গায় চুরি হচ্ছে বলেও অভিযোগ খামারিদের। তবে তাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইনডিপিন্ডেট:১৪.০০
জুলাইয়ের শুরুতেই উত্তরাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বাড়ায় তলিয়ে যেতে শুরু করে চরাঞ্চল। পরে বন্যা ভয়াবহ রূপ নেয় গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জসহ কয়েক জেলায়।
পানি ঢুকেছে ঘরে, তলিয়ে গেছে মাঠ ও ফসলি জমি। দুর্গতদের অনেকের ঠাঁই হয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, উঁচু রাস্তা ও অস্থায়ী আশ্রায়কেন্দ্রে সেখানেই কোনোমতে রাখা হয়েছে কোরবানির জন্য পালন করা গরু-ছাগল। ভিজে নষ্ট হয়েছে খড়ের গাদা। এ ছাড়া অন্যান্য গো-খাদ্যের সংকটে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।
গাইবান্ধার দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, খামারিদের লোকসান কাটাতে নেয়া হবে উদ্যোগ। বিষয়টি তুলে ধরা হবে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে।
বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির হিসাবে, বর্তমানে তিস্তা ও ব্রহ্মপূত্র অববাহিকায় উত্তরের চরাঞ্চলে বিক্রির উপযুক্ত গবাদি পশু কমপক্ষে ১০ লাখ। বন্যা পরিস্থিতিতে এসব পশু রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি খামারিদের। সম্পাদনা: এইচ এম জামাল
আপনার মতামত লিখুন :