মাসুদ আলম : রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও শৃঙ্খলা ফিরছে না। শৃঙ্খলা ফেরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সচেতনার জন্য পথচারি, চালক ও হেলপারদের এক ঘণ্টার কাউন্সিলিংও করা হয়। তারপরও ফুটওভার ব্রিজ ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারে পথচারিদের অনীহা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারিরা যত্রতত্র রাস্তা পারাপার ও রেলিংয়ের ফাঁকা অংশ দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। আবার কেউ রেলিংয়ের ওপর দিয়ে লাফিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এর ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাই সচেতন হলেই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরবে। কারো একার পক্ষে তা সম্ভব নয়।
শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বসুন্ধরা শপিং মলের সামনের রাস্তাটি রেলিং দিয়ে আটকানো। রেলিংয়ের মাঝখানের ফাঁকা অংশ দিয়েই রাস্তা পার হচ্ছেন মার্কেটে আসা ক্রেতারা। অথচ মার্কেটির পাশে ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও পথচারিদের তা ব্যবহারে অনীহা দেখা যায়। একই অবস্থা গুলশানের বাঁশতলা এলাকায়ও। ফুটওভার ব্রিজে না উঠে যত্রতত্র ও রেলিংয়ের ওপর দিয়ে লাফিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন অনেকেই। ফুটওভার ব্রিজটির পাশেই ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। একই চিত্র নতুনবাজার, বাড্ডা, উত্তরা ও মিরপুরসহ অধিকাংশ এলাকার।
সেলিম মিয়া নামের এক পথচারি বলেন, দ্রুত পারাপারের জন্যই রেলিংয়ের ওপর দিয়ে লাফিয়ে পার হচ্ছিলাম। এরকম ভুল আর ভবিষৎতে হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মলি বেগম বলেন, দ্রুত পারাপারের জন্য রেলিংয়ের ফাঁকা অংশ দিয়ে পার হচ্ছিলাম। যদি রেলিংগুলোর ফাঁকা অংশ বন্ধ করা হয় বাধ্য হয়ে সবাই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবে। যত্রতত্র পারাপার বন্ধ হয়ে যাবে। দুর্ঘটনা কমে আসবে।
ধানমন্ডি জোনের ট্রাফিক পুলিশ সিনিয়র সহকারি কমিশনার আকরাম হোসেন বলেন, আগের তুলনায় ফুটওভার ব্রিজ ও জ্রেবা ক্রসিং ব্যবহার বেড়েছে। পথচারিদের মধ্যে সচেতনা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ তৎপর রয়েছে। রেলিংয়ের ফাঁকা অংশ বন্ধ হলে ফুটওভার ব্রিজে উঠতে বাধ্য হবে পথচারিরা।
সম্পাদনা- ইসমাঈল ইমু/ মিঠুন রাকসাম
আপনার মতামত লিখুন :