শিরোনাম
◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০১৯, ০১:০৬ রাত
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০১৯, ০১:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উত্তরার খালে বিদেশি অস্ত্র, তিন বছরেও শেষ হয়নি তদন্ত

ইসমাঈল ইমু : উত্তরার দিয়াবাড়ির একটি খাল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের তিন বছর পার হলেও এখনো তদন্ত শেষ হয়নি। এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কে, কারা বা কেন এনেছিল তাও রহস্যেই আটকে আছে। পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্রগুলো উদ্ধার হওয়ার কারণে ওই সময় মামলা হয়নি। তুরাগ থানায় তখন তিনটি পৃথক সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। এই তিনটি সাধারণ ডায়েরি ধরেই চলছে তদন্ত।

২০১৬ সালের ১৮ জুন উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরের দিয়াবাড়ি খাল থেকে সাতটি কালো ব্যাগের ভেতর থেকে ৯৫টি সেভেন ৭.৬২এমএম পিস্তল, ২টি ৯এমএম পিস্তল, ৪৬২টি ম্যাগাজিন (২৬৩টি এসএমজির), ১০৬০ রাউন্ড গুলি, ১০টি বেয়নেট, ১৮০টি ক্লিনিং রড ও ১০৪টি স্প্রিংযুক্ত বাক্স উদ্ধার করা হয়। ১৯জুন একই খাল থেকে আরও তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ব্যাগে ছিল এসএমজির ৩২টি ম্যাগাজিন ও ৮টি ক্লিনিং রড। আর ২৫জুন একই এলাকার অন্য একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয় আরও তিনটি ব্যাগ। তাতে পাঁচটি ওয়াকিটকি, দুটি ট্রান্সমিটার, দুটি ফিডার ক্যাবল, ২২টি কৌটা (যার মধ্যে ছিল আইসি, ট্রানজিস্টার, ক্যাপাসিটার ও সার্কিট), সাত প্যাকেট বিস্ফোরক জেল, ৪০টি পলিথিনের ব্যাগে থাকা বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম এবং ৩২৫টি রুপালি ও সবুজ রঙের স্প্রিংযুক্ত বাক্স ছিল। এছাড়া আরও কিছু ইলেট্রিক ডিভাইসও উদ্ধার করা হয়।

এদিকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলোর সঙ্গে জঙ্গিদের ব্যবহৃত অস্ত্রের মিল নেই বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তারা জানান, জঙ্গিদের কাছে এ পর্যন্ত যত অস্ত্র পাওয়া গেছে, তার বেশিরভাগ অস্ত্রই পাশের দেশ থেকে আনা। যেগুলো মূলত ফরেন আর্মস বা ইমপোর্টেড আর্মস না। জঙ্গিদের কাছে পাওয়া অস্ত্রগুলো সাধারণত লেদ মেশিনে বানানো এবং নিম্নমানের।

সিটিটিসির এক কর্মকর্তা বলেন, দুএকটা ক্ষেত্রে জঙ্গিদের কাছে একে-২২ রাইফেল পাওয়া গেছে। যে ধরনের অস্ত্র হলি আর্টিজানের ঘটনায় ব্যবহার করা হয়। একটি একে-২২ বগুড়ার মসজিদে হামলার পর কমলাপুর রেলস্টেশনে পাওয়া যায়, এর বাইরে আরেকটি একই ধরনের অস্ত্র চট্টগ্রামে পাওয়া যায়। এর বাইরে জঙ্গি আস্থানাগুলোতে ইন্ডিয়ান অস্ত্র ছাড়া অন্য কোনও বিদেশি অস্ত্র পাওয়া যায়নি। কিন্তু দিয়াবাড়ির খালে পাওয়া অস্ত্র বিদেশি ও উন্নতমানের।

সম্পাদনা :রাশিদ / রাকসাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়