মনজুর এ অনিক, নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় শনিবার সকালে প্লে গ্রুপের এক শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। গণপিটুনিতে নিহত যুবকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এদিকে দুপুরে মিজমিজি এলাকায় ছেলে ধরা সন্দেহে এক মহিলাকে মারধর করেছে এলাকাবাসী। এসময় পুলিশ জনতা সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক সাঈদ আহমেদ জানান, মিজমিজির সোহেলের মেয়ে আইডিয়াল ইসলামিক স্কুলের প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী সাদিয়া (৭) কে এক যুবক জোর পূর্বক ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। শিক্ষার্থী তাকে দেখে স্যার স্যার বলে চিৎকার করলে ওই যুবক নিজের মেয়ে বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থী ও তার বাবাকে চেনে বলে ওই যুবককে দাড়াতে বললে সে একটি রিকশা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে ডিউটি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে দুপুরে মিজমিজি এলাকায় ছেলে ধরা সন্দেহে আসমা আক্তার নামে এক মহিলাকে আটক করে মারধর করেছে এলাকাবাসী। ওই মহিলা স্থানীয় ইটালী প্রবাসী বিল্লালের বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেও তাকে মারপিট করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিলাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে আসমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ্র সাহা বলেন, ছেলে ধরা গুজবে এমন ঘটনা ঘটছে। সিদ্ধিরগঞ্জে গণপিটুনিতে একজন নিহত ও এক মহিলা আহত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সম্পাদনা: রাশিদ/সুতীর্থ
আপনার মতামত লিখুন :