হ্যাপি আক্তার : বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দেয়ার পরও পাহাড়ি ঢল ও বন্যার হাত থেকে নিস্তার পায়নি ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলাবাসী। এবার বর্ষা মৌসুমে বেড়েছে দুর্ভোগ। ডিবিসি নিউজ, ৯:০০।
এদিকে, বাঁধ তৈরির ৭ বছরেই ভেঙে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা।
২০১২ সালে বর্ষা মৌসুমে উজানের ঢল থেকে রক্ষা পেতে ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি সংস্কার করা হয়। ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাঁধটি ভেঙেছে ৭ বছরেই, ফলে বর্ষা মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদী তীরবর্তী মানুষ।
২০০৪-০৫ অর্থবছরে বাঁধটি নির্মাণের পর থেকে কয়েক দফায় হয়েছে সংস্কার। বার বার সংস্কারেও বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।
কিছু দিন আগে বাঁধের ১২টি জায়গা ভেঙে প্লাবিত হয়েছে পরশুরাম ও ফুলগাজীর ১৭টি গ্রাম। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, বাঁধ ভেঙে এলাকায় বন্যার হচ্ছে। অদুর অভিষ্যতে হয় তো গ্রামটি হারিয়ে যাবে। শুকনো মৌসুমে কেউ আসে না, তবে বন্যার সময় কর্মকর্তারা আসেন।
বাঁধের দেড় শতাধিক ভাঙন মেরামতেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকায়। তবে এতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
বার বার মেরামতের বিষয়টি স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাঁধটি অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি আরো শক্তিশালী করার জন্য কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
ফেনীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, এবারও মুহুরি ও কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৩টি স্থানে ভাঙন মেরামতের কাজ চলছে। সম্পাদনা : রাশিদুল/সুতীর্থ
আপনার মতামত লিখুন :