শিরোনাম

প্রকাশিত : ২০ জুলাই, ২০১৯, ০৫:৫৬ সকাল
আপডেট : ২০ জুলাই, ২০১৯, ০৫:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নামবে বসুন্ধরা কিংস

নিজস্ব প্রতিবেদক : বসুন্ধরা কিংস! দেশের ফুটবলে একেবারেই নবাগত এই দলটি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে অভিষেক মৌসুমেই অনন্য এক ইতিহাস রচনার দারপ্রান্তে। কেননা আর মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেলেই প্রথমবার পেশাদার লীগে নাম লিখিয়েই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দারুণ এক কীর্তি গড়তে চলেছে নবাগত দলটি।

নীলফামারিতে ঘরের মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে স্বাগতিক দর্শকদের সামনেই শিরোপা জয়ের আশায় থাকা দলটির কাজটি আরো সহজ করে দিয়েছে স্বয়ং মোহামেডানই। আগের ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে ৪-০ গোলে হারিয়ে কিংসের শিরোপা জয়ের কাজটা আরেক ধাপ সহজ করে দিলো সাদাকালোরা। তবে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের জয়টা বর্তমান ফুটবল অবস্থায় বেশ চমকই বটে কেননা টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আকাশী-নীলদের চেয়ে বেশ পিছিয়ে মোহামেডান ধুঁকছে অবনমন শঙ্কা বাঁচাতে। এতে অবশ্য বসুন্ধরার কাজটা সহজ হওয়াতে বেশ নির্ভার থাকতে পারছে দলটি। কেননা আজ শনিবার সিলেটে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে হারাতে পারলেই শিরোপা ঘরে উঠবে তাদের।

তবে কাজটা আরো সহজ হয়ে যেতে পারে দলটির জন্য। কেননা একই দিন একই সময়ে ঢাকায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নামছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। এই ম্যাচে যদি আবাহনী হেরে যায় তাহলে শেখ রাসেলের বিপক্ষে জয় না পেলেও শিরোপা বসুন্ধরার ঘরেই যাবে।

এরমধ্যেই টানা ১৪ ম্যাচ জয়ের অনবদ্য এক রেকর্ড করে ফেলেছে দলটি। এর আগে ২০০৯-১০ মৌসুমে শিরোপা জয়ের পথে টানা ১১ ম্যাচ জয় পেয়েছিল ঢাকা আবাহনী। তবে কিংস সেই রেকর্ড ভাঙার পরেও কিংসের সামনে থাকছে বাকি চার ম্যাচ জিতে আগামীতে অন্য কোনো ক্লাবের জন্য সব গুলো ম্যাচ জিতে অতিমানবিক রেকর্ড করার কঠিন চ্যালেঞ্জ দিয়ে যাওয়ার সুযোগ।

এ প্রসঙ্গে বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘শেখ রাসেল ম্যাচসহ পরের চারটি ম্যাচ আমরা জিততে চাই। সেটা হলে আমাদের এই রেকর্ড ভাঙতে পরবর্তীতে কোনো দলকে লীগের সব গুলো ম্যাচ জিততে হবে। যা একপ্রকার অসম্ভবই।’

দল গঠনের শুরু থেকেই বেশ আটঘাট বেধে নেমেছিল দলটি। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা প্লেয়ার বাছাই সবকিছুই ছিলো দলটির বেশ গোছানো। প্রাক মৌসুমের প্রস্তুতি চলাকালীন সময়ে মালদ্বীপ লীগ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েছিল ৪-১ গোলে। লীগের শুরুতে শক্তিশালী আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়ে জানান দেয় কতটা গোছানো দলটি।

কোচ অস্কার ব্রুজোনের অধীনে কলিনড্রেস,মার্কোস ভিনিসিয়াসদের মতো বিদেশীরা পাশাপাশি দেশীয় ফুটবলারদের পেশাদারি পারফরম্যান্সই তাদের শিরোপার পথে হাঁটার মূল কারণ। ফলাফল দেখলেই বুঝা যায় পুরো লীগেই কতটা ধারাবাহিক দলটি। হার নেই কোনো ম্যাচে শুধু মাত্র একটি ম্যাচে হয়েছে ড্র।

শেষ সময়ে এসে এতো সহজ সুযোগ থেকে পা হড়কানোর কোনো কারন দেখছেনা দলটি তাই নীলফামারিতে ঘরের মাঠে যাওয়ার আগেই সিলেটে শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার দারুণ সুযোগ থাকায় উদযাপনের প্রস্তুতি থাকছে দলটির। যাচ্ছে সমর্থকরা এবং গড়ে উঠছে ফ্যান ক্লাবও। তাই সিলেটে আজ শনিবার শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে হারিয়ে অভিষেক মৌসুমেই লীগ জিতে বাজিমাত করতে চায় নবাগত দলটি। সাথে দেশের ফুটবলে স্থাপন করতে চায় অনন্য এক কীর্তি। সম্পাদনা: ইকবাল খান ও রাশিদ রিয়াজ
সূত্র- স্পোর্টস নিউজ বাংলাদেশ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়