আসিফুজ্জামান পৃথিল : ভারতে সর্বশেষ সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের চিত্রনায়ক ফেরদৌস। সীমান্তের ওপারে তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলো দলটি। কিন্তু এর খেসারত এখনও দিচ্ছেন ফেরদৌস। এই ঘটনার পর তাকে কালো তালিকাভুক্ত করে ভারত। একই সঙ্গে তাকে দেওয়া হয় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব পসঙ্গে ফেরদৌস কথা বলেছেন।
এই বিষয়ে ফেরদৌস টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘আমার কমপক্ষে ৪টি চলচিত্র আটকে আছে। আমার ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে আমার সহ তারকাদেরও। পরিচালক-প্রয়োজকের ক্ষতির কথা আর নাই বা বললাম।’ ১৫ এপ্রিল ভারত ত্যাগ করার নোটিশ পেয়ে দেশে ফিরে আসন এই ৪৬ বছর বয়সী তারকা। তার আর ফেরা হয়নি। তিনি আরো বলেন, ‘আমার মেয়েদের প্রিয় শহর কলকাতা। তারা যখন আমাকে যেতে চাপ দেয়, আমার খুব খারাপ লাগে। আমার এক মেয়ে স্কুলে শুনেছে আমি নিষিদ্ধ তাই তাদের ভারতে নিয়ে যেতে পারছি না। আমার অসহায় লাগছে। আমাকে সবাই প্রশ্ন করে, কেনো আমি এটা করলাম। এটা বিব্রতকর। আমি আসলেই দু:খিত। আমার আরো সচেতন থাকা প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু কলকাতায় আমার নিজেতে কখনই বিদেশি মনে হয়নি।’
ফেরদৌস জানিয়েছেন তিনি এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ছোট হয়েছেন কন্যাদের কাছে। নিজেকে তার অপরাধী মনে হয়, কিন্তু এই অপরাধের ব্যাখ্যা তিনি খুঁজে পাননা। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী তানিয়া একজন পাইলট এবং প্রতি সপ্তাহেই সে আমাদের জাতীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ নিয়ে কলকাতা যায়। আমার মেয়েরা প্রশ্ন করে, যদি মা যেতে পারে আমরা সবাই কেনো যেতে পারি না।’ ফেরদৌস জানান, তিনি এই গ্রীস্মে কন্যাদের ইংল্যান্ড নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও তারা বারবার কলকাতার কথাই বলেছে।
আপনার মতামত লিখুন :