স্বপ্না চক্রবর্তী : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নাসা কেনেডি স্পেস সেন্টারে আগামী ২১-২৩ জুলাই শুরু হতে যাচ্ছে একটি প্রতিযোগিতা। সেখানে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেওয়ার কথা ছিলো চার প্রতিযোগীর। তাদের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে যাওয়ার কথা ছিলো তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ছয় কর্মকর্তাসহ বেসিসের মোট ১৬ জনের। এ লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক জনপ্রতি দুই লাখ ৭৭ হাজার টাকা করে বাজেট দেওয়ার পাশাপাশি অগ্রিম এয়ার টিকিট, হোটেল ভাড়া করা সম্পন্ন। কিন্তু ভিসা জটিলতায় ‘মূল আকর্ষণ’ প্রতিযোগী চারজন যেতে পারছেন না। প্রতিযোগীরা ছাড়াও ভিসা পাননি তালিকাভুক্ত বেসিস সদস্য এবং প্রতিযোগীদের মেন্টর। তবে শুধু মন্ত্রণালয়ের ছয়জনের তিন মাস করে ভিসা হয়েছে।
জানা যায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় প্রতিযোগীরা গতকাল বুধবার আমেরিকা এম্বাসিতে পুনরায় ভিসার জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু সম্ভাব্য পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়ার তারিখ দিয়েছে ২৩ জুলাই। অথচ ওই দিন নাসার অনুষ্ঠান শেষ হবে। ফলে কোনোভাবেই তাদের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকল না।
জানা যায়, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৮’ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের দুই হাজার ৭২৯টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে চ্যাম্পিয়ন হয় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) টিম অলিক। এ টিমে রয়েছে জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের ছাত্র আবু সাবিক মাহদি ও কাজী মইনুল ইসলাম, একই বিভাগের সাব্বির হাসান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এসএম রাফি আদনান।
এর প্রেক্ষিতে গত ২৯ মে ও ১২ জুন দুটি আলাদা ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের আমন্ত্রণ জানায় নাসা এবং ২১ জুন নাসা থেকে প্রত্যেক সদস্যের নাম উল্লেখ করে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিল। আমন্ত্রণপত্র পেয়ে তারা ১ জুলাই ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করেন। ভিসার জন্য তারা সাক্ষাৎকার দেন ১১ জুলাই। পরে তাদের ভিসা আইএন-এর ২১৪ (বি) ধারায় (দেশে ফিরে আসবে না এমন সন্দেহ থাকায়) প্রত্যাখ্যান করে দূতাবাস। নাসার আমন্ত্রণ রক্ষা করতে হলে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের নাসাতে উপস্থিত হতে হবে। সেখানে ২১, ২২ ও ২৩ জুলাই নাসার বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ২১ জুলাই রকেট ফ্যালকন-৯-এর সিআরএস-১৮ মিশনের মহাকাশে উৎক্ষেপণ এবং ২২ ও ২৩ জুলাই অন্যান্য কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
তবে প্রতিযোগীরা অংশ না নিলেও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি সালমা সিদ্দিকা মাহাতাব, মো. আবুল খায়ের, মো. দিদারুল আলম, হাইটেক পার্কের ডেপুটি সেক্রেটারি মো. আবদুল হাই, আইডিয়া প্রোজেক্টের কাজী হোসনা আরা ও আইসিটি ডিভিশনের প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা একরামুল হক এবং বেসিসের পরিচালক দিদারুল আলম সানি (তিনি আগে থেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভিসা নিয়েছিলেন) এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :