শামসুজ্জোহা পলাশ, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা শোয়েব রিগানকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নজরুল, রাব্বি ও ফিরোজ নামের ৩জনকে আটক করেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (১৯ জুলাই) রিগানের পিতা আজম আলী বাদী হয়ে ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১৩নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ২৩জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কোপানোর ফলে রিগানের দুই পা ও বাম হাতসহ শরীরের অন্তত ৪০টি স্থান ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। বিশেষ করে দুই পা ও বাম হাতে কোপ দেওয়া হয়েছে অসংখ্য। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ কারণে আমরা চুয়াডাঙ্গা থেকে রিগানকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলে রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাগণ হাসপাতালে ছুটে আসেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. কলিমুল্লাহ জানান, এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজে বের করে গ্রেফতারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহাবুল হোসেন জানান, শোয়েব রিগান কলেজ ছাত্রলীগের নেতা হলেও চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহসভাপতি হিসাবে মনোনীত ছিলেন। ন্যাক্কারজনক এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা ও জেলা শহরের মাঝের পাড়ার আজম আলীর ছেলে শোয়েব রিগানকে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের জ্বিনতলা মল্লিক পাড়া এলাকায় মোটরসাইকেলযোগে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাহেলা খাতুন গালর্স একাডেমি স্কুলের পিছনে পৌঁছালে পাঁচ/ছয় জনের একটি দুর্বৃত্ত দল তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সম্পাদনা : মিঠুন রাকসাম
আপনার মতামত লিখুন :