স্বপন দেব : বড়লেখায় অপহরণের ১৩ দিন পরও স্কুলছাত্রের সন্ধান মিলেনি। মুক্তি দেয়ার নামে অভিভাবকের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়কারী যুবক কামাল মিয়াকে পুলিশ বুধবার রাতে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। সে কোম্পানীগঞ্জের কাকুরাইল গ্রামের মদরছিল আলীর ছেলে। অপহৃত স্কুলছাত্রের নাম আব্দুল ওয়াহিদ (১৫)। সে বড়লেখার বোবারতল উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র এবং ইসলামনগর গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, গত ৭ জুলাই স্কুলছাত্র আব্দুল ওয়াহিদ (১৫) এক লেবু বিক্রেতার সাথে সিলেটের বিয়ানীবাজার দেখার জন্য ঘুরতে যায়। এরপর সেখান থেকে হঠাৎ সে উধাও হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার বাবা ৯ জুলাই বড়লেখা থানায় জিডি করেন।
এরই মধ্যে ১৬ জুলাই রাতে স্কুলছাত্রের মুঠোফোনে তার বাবার সাথে যোগাযোগ করে মুক্তিপন আদায়কারী কামাল মিয়া। সে স্কুল ছাত্রকে দিয়ে তার পরিবারের সাথে কথা বলিয়ে দেয় এবং ছেলেকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। কামাল মিয়া বিকাশ নম্বর দিলে ছেলেকে ফিরে পেতে স্কুলছাত্রের পরিবার ১০ হাজার টাকা বিকাশ করেন। বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরেই বড়লেখা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. রশিদ উদ্দিন গোয়াইনঘাট থানার পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় কামাল মিয়াকে আটক করেন। তবে স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে পুলিশ কামাল মিয়াকে বড়লেখা থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় স্কুলছাত্রের বাবা ইকবাল হোসেন গত বৃহস্পতিবার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে অপহরণ মামলা করেছেন।
বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক মো. রশিদ উদ্দিন জানান, ‘স্কুলছাত্রকে মুক্তি দিতে টাকা দাবি করছিল গ্রেফতার কামাল মিয়া। সে ১০ হাজার টাকা বিকাশে গ্রহণ করে। এর সূত্র ধরে গোয়াইনঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সম্পাদনা : আমিন মুনশি
আপনার মতামত লিখুন :